আন্তর্জাতিক

মার্কস ও এঙ্গেলসের ধর্ম বিশ্লেষণ: সামাজিক শ্রেণী ও শোষণ
মার্কস

নিউজ ডেস্ক

November 18, 2025

শেয়ার করুন

প্রতিবেদক: বিডিএস বুলবুল আহমেদ

ধর্মের প্রকৃতি এবং এর সমাজে ভূমিকা নিয়ে কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস এর বিশ্লেষণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের মতে, ধর্ম কেবল আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের বিষয় নয়, এটি একটি সামাজিক শক্তি, যা শোষণকারী ব্যবস্থাকে বৈধ করার জন্য এবং শোষিতদের দুঃখ আড়াল করার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।


মার্কসের ধর্ম সম্পর্কে বিশ্লেষণ

কার্ল মার্কস তার Critique of Hegel’s Philosophy of Right” গ্রন্থে ধর্মকে “মানুষের আফিম” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মার্কসের মতে, ধর্ম নিপীড়িত মানুষের দীর্ঘনিঃশ্বাস, হৃদয়হীন বিশ্বের অন্তর, এবং আত্মাহীন অবস্থার আত্মা। এখানে ধর্ম শুধুমাত্র মানুষের দুঃখের প্রতিফলন নয়, বরং একটি ভ্রান্ত সুখ প্রদানকারী ব্যবস্থা, যা মানুষের শোষণ থেকে মুক্তির বদলে তাকে আরো শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। মার্কস মনে করেন, ধর্ম মানুষের আত্মার দাসত্বের প্রতিফলন, এবং এটি মানুষকে তার বাস্তব দুঃখের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে উৎসাহিত না করে বরং তাকে শোষিত অবস্থায় রাখে

মার্কসের মতে, ধর্মের বিলুপ্তি জনগণের প্রকৃত সুখের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি বলেন, “ধর্মের বিলুপ্তি মানুষের মিথ্যা সুখের অবসান এবং প্রকৃত সুখের দিকে এক সঠিক পদক্ষেপ।”

এঙ্গেলসের ধর্ম সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি

ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস মার্কসের মতোই ধর্মকে সামাজিক শ্রেণীসংগ্রামের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছেন। তিনি বলেছিলেন, “ধর্মগুরু ও জমিদার একসাথে মানুষের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।” এর মাধ্যমে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে, ধর্ম শোষণকারী শ্রেণীর অবস্থানকে বৈধ করে এবং শোষিত শ্রেণীকে অন্তর্নিহিত শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে

এঙ্গেলস আরও বলেছিলেন, “ধর্ম মানুষকে এমন এক উল্টোদৃষ্টির চেতনায় রাখে, কারণ যারা সমাজের বাস্তব শক্তি, তারা ধর্মীয় অনুমোদনের আড়ালে নিজেদের অবস্থান বৈধ করে।”

এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে, এঙ্গেলস ধর্মকে দেখেছেন শোষণ ও শ্রেণীসংগ্রামের এক সামাজিক অস্ত্র হিসেবে, যা শোষিতদের বিদ্রোহকে দমন করতে ব্যবহৃত হয়।

মার্টিন লুথার: মার্কস ও এঙ্গেলসের দৃষ্টিতে

মার্টিন লুথার খ্রিস্টধর্মের সংস্কারক হিসেবে পরিচিত হলেও মার্কস ও এঙ্গেলস তাকে ধর্মীয় সংস্কারকের পাশাপাশি একটি বিশেষ সামাজিক মুহূর্তের বাহক হিসেবে দেখেন। তারা উল্লেখ করেন যে লুথার, বাইবেলকে সাধারণ জনগণের হাতে পৌঁছানোর মাধ্যমে ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছেন, কিন্তু তিনি সমাজের কাঠামো পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মার্কস এবং এঙ্গেলস উভয়েই লুথারের ধর্মীয় সংস্কার-এর মধ্যে এক ধরনের দ্বৈত চরিত্র দেখতে পান। মার্কস তাকে ইতিবাচকভাবে দেখলেও বলেছেন, “লুথার কর্তৃত্ব ভেঙে মানুষের আত্মবিশ্বাসকে গুরুত্ব দিয়েছেন, কিন্তু তিনি সামাজিক মুক্তির পথ সুগম করতে পারেননি।”

এঙ্গেলসও তাঁর “The Peasant War in Germany” গ্রন্থে লুথারের ধর্মীয় সংস্কারের মধ্য দিয়ে কৃষক বিদ্রোহকে প্রত্যাখ্যান করার এবং সমাজের অভিজাতদের পক্ষে দাঁড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

সামগ্রিক বিশ্লেষণ

মার্কস ও এঙ্গেলসের ধর্ম নিয়ে বিশ্লেষণকে সমাজের শ্রেণীসংগ্রাম এবং শোষণমূলক ব্যবস্থার সমালোচনা হিসেবে দেখা যেতে পারে। তাদের দৃষ্টিতে, ধর্ম মানুষের কষ্ট ও শোষণের প্রকৃত প্রতিফলন, কিন্তু এটি মানুষের সত্যিকার মুক্তির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা দেখিয়েছেন, ধর্ম শোষণকারী শ্রেণীর স্বার্থরক্ষায় কাজ করে এবং সাধারণ জনগণকে ভ্রান্ত সুখের স্বপ্নে ডুবিয়ে রাখে।

এছাড়া, মার্টিন লুথার এর ধর্মীয় সংস্কারকে দুই দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। একদিকে তিনি আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা এনেছিলেন, তবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে পারেননি। লুথার একটি ধর্মীয় বিপ্লব চালালেও, তা সামাজিক বিপ্লব হয়ে উঠতে পারেনি।


Sources:

  1. মার্কসের “Critique of Hegel’s Philosophy of Right”
  2. এঙ্গেলসের “The Peasant War in Germany”
  3. মার্টিন লুথারের ধর্মীয় সংস্কার ও এর বিশ্লেষণ

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ED–কে মোদি

নিউজ ডেস্ক

November 27, 2025

শেয়ার করুন

ভারতে Enforcement Directorate (ED) হল অর্থপাচার, বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘন ও আর্থিক অপরাধ তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত এক দশকে এই সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ ভারতে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

এ অভিযোগ কি সত্যি, নাকি অতিরঞ্জিত? নিচে প্রমাণ ও পরিসংখ্যানসহ বিশ্লেষণ দেওয়া হলো—

১. বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ED ব্যবহারের পরিসংখ্যান (২০১৪–২০২৪)

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম, সুপ্রিম কোর্ট রেকর্ড ও সরকারি তথ্য বিশ্লেষণে যা পাওয়া যায়:

The Indian Express (২০২৩) জানায়—
২০১৪ সালের পর ED যেসব রাজনৈতিক মামলায় তদন্ত করেছে, তার ৯৫% অভিযুক্তই বিরোধী দলীয় নেতা বা কর্মী
সূত্র: Indian Express ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট।

Hindustan Times (২০২৪) জানায়—
২০১৪ সালের আগে প্রতি বছর গড়ে ৬০–৭০টি ED মামলা হতো। ২০১৪–এর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় গড়ে ৪০০–এর বেশি

BBC, Reuters, Al-Jazeera সহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম লিখেছে—
ভারতে ED ও CBI–এর ব্যবহার বিরোধীদের বিরুদ্ধে “disproportionate and politically selective”।

Supreme Court of India ২০২২ সালে ED-এর ক্ষমতা বাড়ালেও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে “গুরুতর উদ্বেগ” বলে মন্তব্য করে।

➡️ এই তথ্যগুলো দেখায়: তদন্তের পরিমাণ বেড়েছে এবং তা বিরোধীদের দিকে বেশি লক্ষ্য করা হচ্ছে।

২. কোন কোন শীর্ষ বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে ED তদন্ত শুরু হয়?

বিগত বছরগুলোতে ED যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে, তাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন BJP–এর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ:

  • আরবিন্দ কেজরিওয়াল (AAP)
  • সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী (Congress)
  • অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)
  • হেমন্ত সরেন (JMM, জেল)
  • সঞ্জয় রাউত (Shiv Sena)
  • ফারুক আবদুল্লাহ (NC)
  • শরদ পাওয়ার (NCP)

India Today Data Intelligence Unit (DIU) সাক্ষ্য দেয়—
তদন্ত শুরু হয়েছে মূলত নির্বাচন উপলক্ষ্যে বা রাজ্য সরকার পতনের ঠিক আগে।

৩. আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো কী বলছে? (রি-লিংক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ)

✔️ Freedom House (2024):
ভারতকে “Partly Free” ঘোষণা করে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক ব্যবহারের সমালোচনা করে।

✔️ V-Dem Institute (2024):
ভারতকে “Electoral Autocracy” হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে।

✔️ Reporters Without Borders (RSF):
ভারতের প্রেস ফ্রিডম র‍্যাংক ১৬১ (পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নিচে)।
সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণের সরাসরি সম্পর্ক রাজনৈতিক তদন্ত সংস্থাগুলোর অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত বলে উল্লেখ করেছে।

✔️ Human Rights Watch (HRW):
ED ও CBI–এর মাধ্যমে বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে—এমন অভিযোগের সমর্থনে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

৪. RSS–BJP রাজনৈতিক মতাদর্শ ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ব্যবহারের ইস্যু

এই অংশে একাডেমিক ভাষায় ব্যাখ্যা:

  • RSS ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি সাংস্কৃতিক–রাজনৈতিক সংগঠন, যাদের রাজনৈতিক শাখা BJP।
  • অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে—
    RSS–এর সংগঠন কাঠামো ইউরোপীয় ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনগুলোর সাথে কিছু মিল রাখে—বিশেষ করে সংস্কৃতির আধিপত্য, জাতীয়তাবাদ, কেন্দ্রীভূত নেতৃত্ব, এবং ভিন্নমত দমন

✔️ Re-link:
“Populism & Hindu Nationalism – LSE Paper”

এই প্রেক্ষাপটে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ—
ED, CBI, Income Tax, NIA এর মতো সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।

৫. সমালোচকদের ভাষায় মোদির রাজনৈতিক শৈলী

নিচে আমি তোমার মূল বক্তব্যকে আইনি নিরাপদ ভাষায় গবেষণামূলকভাবে সাজালাম:

সমালোচকদের মতে মোদি সরকারের শাসনশৈলীতে দেখা যায়—

  • অতিরিক্ত রাষ্ট্রমহিমান্বয়ন
  • প্রবল জাতীয়তাবাদ
  • সাংস্কৃতিক আধিপত্য
  • রাজনৈতিক বিরোধীকে রাষ্ট্রশত্রু হিসেবে উপস্থাপন
  • সমালোচনাকে দেশবিরোধিতা হিসেবে চিহ্নিত করা
  • সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ
  • শক্তিশালী কেন্দ্রীয় প্রশাসন

এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানীরা “competitive authoritarianism”, “electoral autocracy” বা “strongman politics” বলে উল্লেখ করেন।

Re-link:
V-Dem Institute Research Report: https://www.v-dem.net

৬. তাহলে প্রশ্নের উত্তর কী? — নিরপেক্ষ উপসংহার

✔️ কি মোদি সরকার ED–কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে?

তথ্য অনুযায়ী—

  • বিরোধীদের বিরুদ্ধে ED মামলার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেশি
  • বেশিরভাগ তদন্ত নির্বাচনের আগে বা সরকার পতনের সময় শুরু
  • আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে
  • সুপ্রিম কোর্টও “অবৈধ গ্রেপ্তার” নিয়ে সতর্ক করেছে

অতএব—
ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বড় অংশের মতে ED–কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে—এ অভিযোগের শক্ত প্রমাণ রয়েছে।

এটি ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিরোধী দল, সংবাদমাধ্যম ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর কার্যকলাপ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদি সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ED-কে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

১. ইডি (ED) কী এবং এর মূল দায়িত্ব কী? (Crucial Information)

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হলো ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা একটি বিশেষ আর্থিক তদন্ত সংস্থা। এর প্রধান দায়িত্ব হলো দুটি গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রয়োগ করা:

  • PMLA (Prevention of Money Laundering Act, 2002): অর্থ পাচার (Money Laundering) সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা।
  • FEMA (Foreign Exchange Management Act, 1999): বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন বা অনিয়মের তদন্ত করা।

ইডি-এর ক্ষমতা অন্যান্য তদন্ত সংস্থার (যেমন সিবিআই) চেয়ে ভিন্ন, কারণ PMLA-এর অধীনে ইডি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এবং তার সম্পদ সরাসরি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।

২. বিতর্কের মূল কারণ: বিরোধী দলের অভিযোগ

মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ED-এর মামলার সংখ্যা এবং কার্যক্রমের পরিধি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে।

  • মামলার কেন্দ্রবিন্দু: বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে ED-এর কার্যকলাপকে বিরোধীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে আখ্যায়িত করেছে। তাদের দাবি, যেসব নেতা সরকারের সমালোচনা করছেন, তাঁদের কণ্ঠরোধ করার জন্যই এসব মামলা দেওয়া হচ্ছে।
  • কম সাজাপ্রাপ্তির হার: বিরোধীদের প্রধান যুক্তিগুলোর মধ্যে একটি হলো: ED বিপুল সংখ্যক মামলা দায়ের করলেও, PMLA-এর অধীনে সাজাপ্রাপ্তির হার তুলনামূলকভাবে খুবই কম। তারা দাবি করেন, এর থেকে প্রমাণিত হয় যে মামলাগুলোর উদ্দেশ্য আইনি সুবিচার প্রতিষ্ঠা নয়, বরং রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা।
  • মামলা ও নির্বাচনী সম্পর্ক: অনেক সমালোচক অভিযোগ করেন যে, গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে বা রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের সময় ED-এর কার্যকলাপ বেড়ে যায়।

৩. সরকারের অবস্থান ও পাল্টা যুক্তি

সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের যুক্তি নিম্নরূপ:

  • দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই: সরকারের দাবি, ED তার দায়িত্ব পালন করছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করছে। তারা যুক্তি দেন যে, ED-এর তৎপরতা বৃদ্ধি প্রমাণ করে সরকার অর্থনৈতিক অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে।
  • আইনের শাসন: সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে, ED একটি স্বাধীন সংস্থা এবং এর কার্যক্রম আইনের দ্বারা পরিচালিত হয়। কেউ দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে যে দলেরই হোক না কেন।
  • স্বচ্ছতা: সরকারের মতে, আগে দুর্নীতি দমন দুর্বল ছিল। বর্তমান সরকার ED-কে শক্তিশালী করে আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা দেশের স্বচ্ছতা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য (Relink to Stability)

উপসংহার

ইডি-এর কার্যক্রমকে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে দাবি করলেও, বিরোধী দলগুলো এটিকে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার হাতিয়ার হিসেবে দেখছে। এই সংস্থাটি বর্তমানে ভারতের রাজনীতিতে একটি গভীর মেরুকরণ এবং বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

প্রতিবেদক:বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ প্রতিদিন

সংবিধান

নিউজ ডেস্ক

November 27, 2025

শেয়ার করুন

প্রতিবেদক: বিডিএস বুলবুল আহমেদ

বাংলাদেশের সংবিধান কেবল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন নয়; এটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর এটি গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর করা হয়। এই সংবিধানে মোট ১১টি ভাগ, ১৫৩টি ধারা (Articles) এবং ৭টি তফসিল রয়েছে।


১. সংবিধান প্রণয়ন ও ঐতিহাসিক সংযোগ (Crucial Information & Relink)

সংবিধানের উৎপত্তি ও এর প্রথম প্রণেতারা হলেন এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

  • প্রণয়ন কমিটি: বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যার প্রধান ছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন
  • হস্তলিখিত অনুলিপি: সংবিধানের দুটি হাতে লেখা অনুলিপি রয়েছে—একটি বাংলা ও অন্যটি ইংরেজি। এর মূল কাঠামোটি তৈরি হয়েছিল ৯ মাসেরও কম সময়ে, যা সদ্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের জন্য এক বিশাল অর্জন।
  • 🔗 Relink: মূলনীতি পুনরুদ্ধার: সংবিধানের মূল চার নীতি (জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা) বিভিন্ন সময়ে সামরিক ফরমান দ্বারা পরিবর্তিত হলেও, পঞ্চদশ সংশোধনী (২০১১)-এর মাধ্যমে সেগুলোকে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়, যা প্রমাণ করে সংবিধানের মূল আদর্শই রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তি।

২. সংবিধানের ১১টি ভাগের সারসংক্ষেপ ও গুরুত্বপূর্ণ ধারা

সংবিধানের এই ভাগগুলো রাষ্ট্রের জন্ম থেকে শুরু করে এর শাসন ও জনগণের অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে:

সাংবিধানিক ভাগধারা সংখ্যাবিষয়বস্তুর মূল কথা (Crucial Information)
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্রধারা ১ – ৭কধারা ৭ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং সংবিধানই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন।
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিধারা ৮ – ২৫রাষ্ট্রের ৪টি মূলনীতি (জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা)। ধারা ৮ এগুলি অনুসরণ করতে সরকারকে বাধ্য করে (আদালতে বলবৎযোগ্য নয়)
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকারধারা ২৬ – ৪৭কধারা ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা)ধারা ৩২ (জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার) সহ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য।
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগধারা ৪৮ – ৬৪রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ক্ষমতা। নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ওপর ন্যস্ত।
পঞ্চম ভাগ: আইন প্রণয়ন বিভাগধারা ৬৫ – ৯৩জাতীয় সংসদ ও আইন প্রণয়নের পদ্ধতি। ধারা ৭০ দ্বারা ফ্লোর ক্রসিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগধারা ৯৪ – ১১৭সুপ্রিম কোর্ট (আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ) এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সপ্তম ভাগ: নির্বাচনধারা ১১৮ – ১২৬নির্বাচন কমিশন (EC) গঠন ও এর কার্যকারিতা—যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান নিয়ামক।
অষ্টম ভাগ: মহাহিসাব নিরীক্ষকধারা ১২৭ – ১৩২CAG এর মাধ্যমে সরকারি অর্থের সুষ্ঠু নিরীক্ষা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগধারা ১৩৩ – ১৪১সরকারি চাকরি ও PSC এর মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিবিধান।
দশম ভাগ: সংবিধান সংশোধনধারা ১৪২সংসদের মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সংশোধন প্রক্রিয়া, যা সংবিধানকে স্থিতিশীলতা দেয়।
একাদশ ভাগ: বিবিধধারা ১৪৩ – ১৫৩শপথ, চুক্তি, তফসিল ও সংবিধানের ব্যাখ্যার চূড়ান্ত বিধান।

৩. তফসিল: ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল (Crucial Information)

সংবিধানে ৭টি তফসিল যুক্ত করা হয়েছে, যা আইনি বিধানের পাশাপাশি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে কাজ করে।

  • পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল: এই তিনটি তফসিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মূল টেক্সট সরাসরি যুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলোকে সংবিধানের অংশ করে স্থায়ী আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।

🔗 Relink: সংবিধানের স্থায়িত্ব: সংবিধানে স্বাধীনতার ঘোষণা ও মূল নীতিগুলো যুক্ত করার অর্থ হলো, ভবিষ্যতে কোনো সরকার চাইলেও সহজে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মৌলিক আদর্শগুলোকে পরিবর্তন করতে পারবে না। এটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আদর্শিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় একটি শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করে।


সূত্র

১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (ধারা ১ থেকে ১৫৩, সর্বশেষ সংশোধনীসহ)।

২. সংবিধান প্রণয়ন কমিটি (১৯৭২) এবং ড. কামাল হোসেন-এর সাংবিধানিক আইন বিষয়ক রচনা।

৩. সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী (২০১১) ও সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের বিশ্লেষণ।

প্রতিবেদক:বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশের সংবিধান

নিউজ ডেস্ক

November 27, 2025

শেয়ার করুন

প্রতিবেদক: বিডিএস বুলবুল আহমেদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত প্রশ্ন হলো—সংবিধানের সরাসরি নির্দেশনা ছাড়াই ক্ষমতা গ্রহণ করা অন্তর্বর্তী সরকার কি বৈধ? এই জটিল আইনি প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে আমাদের সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে এর ঐতিহাসিক সংযোগ ও মৌলিক নীতিগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে।


১. সংবিধানের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা (গুরুত্বপূর্ণ তথ্য)

বাংলাদেশের সংবিধানের বর্তমান কাঠামো (পঞ্চদশ সংশোধনীর পর) অনুযায়ী, কোনো অনির্বাচিত বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুনির্দিষ্ট বিধান নেই। কঠোরভাবে দেখতে গেলে, এই সরকার সংবিধানের ধারা মেনে গঠিত হয়নি। তবে এর বৈধতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তির ওপর:

  • সাংবিধানিক শূন্যতা (Constitutional Vacuum): ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন এবং সংসদ বিলুপ্ত হয়, তখন রাষ্ট্র পরিচালনায় এক চরম সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল। এই শূন্যতা পূরণের জন্য একটি জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য ছিল।
  • ডকট্রিন অব নেসেসিটি (Doctrine of Necessity): আইনি বিশ্লেষণে, এই সরকারকে ‘অপরিহার্যতার নীতি’ বা ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’-র ভিত্তিতে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো, যখন দেশের শাসন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে এবং জনগণের জীবন রক্ষার্থে একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেই সীমিত মেয়াদের ব্যবস্থাটি বৃহত্তর জনস্বার্থে বৈধ বলে বিবেচিত হতে পারে। এই নীতি জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতাকে (অনুচ্ছেদ ৭) ভিত্তি হিসেবে ধরে।

💡 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শ এবং ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর মাধ্যমে এই সরকারের ক্ষমতাকে সাময়িকভাবে আইনি কাঠামোতে আনা হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।


২. সংবিধানের প্রাসঙ্গিকতা ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ (Relink বিশ্লেষণ)

আপনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা যদি সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলো (যেমন খুন, গুম, গণহত্যা) লঙ্ঘন করে এবং দেশ থেকে পালিয়ে যায়, তবে সংবিধানের গুরুত্ব কোথায়?

ক. সংবিধানের গুরুত্ব কেন অপরিসীম (Relink to Rule of Law):

সংবিধান মানুষের দ্বারা তৈরি হলেও, এটিই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন (Supreme Law) হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ:

  • আইনের ভিত্তি: এটি রাষ্ট্রের সকল আইন, বিচার ব্যবস্থা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মূল উৎস
  • ক্ষমতার সীমা: সংবিধানই নির্ধারণ করে, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরের ক্ষমতা কতটুকু। ক্ষমতাসীনরা যখন খুন বা গুমের মতো কাজ করে, তারা সংবিধানকে বাতিল করে না, বরং সংবিধানের কাঠামো থেকে সৃষ্ট মৌলিক আইনগুলোই লঙ্ঘন করে।

খ. সংবিধান মেনে খুন, গুম বা পালিয়ে যাওয়া?

না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে খুন, গুম ও গণহত্যার গুরুতর অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন বা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তা সংবিধানের মৌলিক নীতি বা আইন মেনে করা সম্ভব নয়। এই অভিযোগগুলো সরাসরি সংবিধানের প্রদত্ত জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩২)-এর চরম পরিপন্থী।

🔗 রি লিংক টু অ্যাকাউন্টিবিলিটি: সংবিধানের সবচেয়ে বড় গুরুত্ব হলো, এটিই জবাবদিহিতার পথ তৈরি করে। নেতার বিরুদ্ধে যতই গুরুতর অভিযোগ থাকুক, তার বিচার বা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার আইনি প্রক্রিয়া (যেমন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়) সংবিধানের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। এটি প্রমাণ করে যে, ক্ষমতাসীনরা সাময়িকভাবে আইন লঙ্ঘন করলেও, শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে সংবিধানই বিচারের পথে ফিরে আসে।


সূত্র

১. বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ৭ (জনগণের সার্বভৌমত্ব) ও ৯৩ (অধ্যাদেশ জারি)। ২. বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় ও পরামর্শ (২০২৪ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর, সাংবিধানিক শূন্যতা প্রসঙ্গে)। ৩. অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪ (The Interim Government Ordinance, 2024)। ৪. সুধা রামচন্দ্রন (দ্য ডিপ্লোম্যাট)-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষণ: ‘Political Dilemma for India: Extraditing Sheikh Hasina’ (২০২৫)।

প্রতিবেদক:বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ প্রতিদিন

১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ