টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এমন কী বিষয় আছে, যা অনেকে জানে না?
অ্যান্ড্রয়েড ফোন

নিউজ ডেস্ক

November 24, 2025

শেয়ার করুন

অ্যান্ড্রয়েডের হাজারো ফিচারের প্রশংসা করা যায় ঠিকই, কিন্তু এমন একটি বড় দুর্বলতা আছে—যা অনেকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখে না।
আর সেটি হলো সিকিউরিটি (Security)
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকে — এবং বেশিরভাগ মানুষ বিষয়টি টেরও পান না।


কেন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কম নিরাপদ?

অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ আপলোড সিস্টেম স্বয়ংক্রিয় স্ক্যান ও কম্পিউটার-বেইজড টেস্টিংয়ের ওপর নির্ভরশীল
এর অর্থ—
✔ অ্যাপ প্লে–স্টোরে আপলোড হওয়ার আগে একটি অ্যালগরিদম অ্যাপ স্ক্যান করে
❌ কিন্তু মানুষ হাতে ধরে অ্যাপ টেস্ট করে না
ফলে ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার বা ডেটা কালেক্টর অ্যাপ প্লে–স্টোরেও ঢুকে যেতে পারে।

উদাহরণ: একটি সাধারণ ফটো এডিটিং অ্যাপ ক্যামেরা ও গ্যালারির পারমিশন নেবেই — এটিই স্বাভাবিক।
কিন্তু যদি অ্যাপটি নীরবে আপনার সেলফি তুলে সার্ভারে পাঠায়
ব্যবহারকারী হয়তো কখনই বুঝতে পারবেন না।

কেন iOS (iPhone) তুলনামূলক বেশি নিরাপদ?

Apple শুধু “সিকিউরিটি” বলে না — বাস্তবে সেই কাজ করে।
অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ আপলোডের আগে—

🔹 প্রতিটি অ্যাপ মানব–ডেভেলপার দ্বারা হাতে ধরে টেস্ট করা হয়
🔹 iPhone–এর অটোমেশন পারমিশন সীমিত
🔹 মূল সেটিংসের অনুমতি জোর করে নেওয়া যায় না
🔹 অ্যাপ অবশ্যই স্টোর থেকেই ইনস্টল করতে হয়
▶ এ কারণে iOS–এ ম্যালওয়্যার ছড়ানো প্রায় অসম্ভব।


অ্যান্ড্রয়েডে বিপজ্জনক কিছু ফিচার

ফিচারঝুঁকি
Play Store Approved Appsম্যালওয়্যার ঢুকে যেতে পারে
APK / বাইরের অ্যাপ ইনস্টলভাইরাস ও স্পাইওয়্যার বেশি
Automation Permissionব্যাকগ্রাউন্ডে SMS / কল করা সম্ভব
Rootingব্যক্তিগত ডেটা পুরোপুরি উন্মুক্ত

একটি বাস্তব ডেভেলপার উদাহরণ:
এক অ্যাপ নির্মাতা উল্লেখ করেছেন—
iOS–এ ব্যাটারি ২–৩% হলে নির্দিষ্ট নম্বরে SMS পাঠানোর অটোমেশন করা অসম্ভব।
কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ডে হাজার হাজার SMS পাঠানোও প্রোগ্রামিং দিয়ে করা যায় — ব্যবহারকারী টেরই পাবেন না।

তাহলে কি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে?

অবশ্যই না — অ্যান্ড্রয়েড দুর্বল মানে বিপজ্জনক নয়।
বিপজ্জনক তখনই হয়—
যখন ব্যবহারকারীর অসতর্কতা যুক্ত হয়।

নিরাপদ থাকতে যা করবেন 👇

✔ শুধুমাত্র Play Store থেকে অ্যাপ ইনস্টল করুন
✔ বাইরের APK / Cracked / MOD অ্যাপ এড়িয়ে চলুন
✔ নতুন অ্যাপ ইন্সটল করার সময় Permission ভালো করে দেখুন
✔ একটি Calculator অ্যাপ যদি “Gallery / Contact / Microphone / Network access” চায় → সঙ্গে সঙ্গে Uninstall
✔ অজানা লিঙ্ক থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না
✔ ফোন Root করবেন না (জানলেও ঝুঁকি বেশি)

আপনার ডেটা — আপনারই দায়িত্ব।

সংক্ষেপে মূল সত্য

বিষয়iOSAndroid
নিরাপত্তাবেশিকম
অ্যাপ টেস্টিংManual + AutomatedMainly Automated
বাইরের অ্যাপসম্ভব নয়খুব সহজ
অপারেশন অটোমেশনসীমিতখুব বেশি
হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিকমবেশি

অ্যান্ড্রয়েড শক্তিশালী, ফ্লেক্সিবল এবং ফাংশনাল —
তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক সিকিউরিটি ভুল করে ব্যবহারকারী নিজেই।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ডেল কার্নেগী

নিউজ ডেস্ক

November 26, 2025

শেয়ার করুন

ডেল কার্নেগীর ‘How to Stop Worrying and Start Living’ বইটি শুধু একটি মোটিভেশনাল গ্রন্থ নয়, এটি জীবনের জটিল দুশ্চিন্তা দূর করে আনন্দময় ও কর্মময় জীবন যাপনের জন্য একটি পরীক্ষিত গাইডলাইন। বহু মানুষের জীবনে এটি আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে, ঠিক যেমন আপনি আপনার জীবনে এর প্রভাব অনুভব করেছেন।

আপনি যে ছোট ছোট বাক্যগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখতেন, সেগুলোই এই বইয়ের মূল দর্শন। এই কন্টেন্টে আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশনগুলো বিশ্লেষণ করব এবং দেখব কীভাবে এই দর্শনগুলি আমাদের জীবনের সঙ্গে রি-লিংক করে।

১. জীবন দর্শনের মূলমন্ত্র: ‘আজকের জন্য বাঁচুন’ (Live in Day-Tight Compartments)

কার্নেগীর এই বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন এবং প্রথম শিক্ষা হলো—’এক দিনের কামরায় বাস করা’। অর্থাৎ, অতীত বা ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা না করে শুধুমাত্র আজকের দিনটির ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা।

স্যার উইলিয়াম অসলারের (Sir William Osler, জনহিতকর চিকিৎসক) জীবন থেকে এই দর্শন গ্রহণ করে কার্নেগী বলেন, আপনার জীবনকে জল-আঁটা কামরার মতো করে ভাগ করুন। গতকালের দুশ্চিন্তার ভার বা আগামীকালের অনিশ্চয়তা আজকের দিনে টেনে আনবেন না।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনি যেমন লিখেছেন, “যা আপনাকে পীড়া দেয়, এমন বিষয় নিয়ে এক মিনিটের বেশি ভাববেন না।” — এর মূলে রয়েছে আজকের দিনে বাঁচার এই কৌশল। যে দুশ্চিন্তা আজকের নয়, তাকে আজকের ‘কামরা’-তে প্রবেশ করতে দেবেন না।

২. দুশ্চিন্তা বিশ্লেষণের জাদু সূত্র

উইলিস এইচ. ক্যারিয়ার (Willis H. Carrier, এয়ার কন্ডিশনারের আবিষ্কারক) থেকে নেওয়া একটি তিন-ধাপের জাদু সূত্র কার্নেগী শিখিয়েছেন। এই সূত্রটি দুশ্চিন্তাকে স্থির এবং যৌক্তিক উপায়ে মোকাবিলা করার পথ দেখায়:

  1. সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কী হতে পারে? (What is the worst that can possibly happen?)
  2. সেই খারাপ পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত হন। (Prepare to accept the worst.)
  3. এরপর শান্তভাবে সেই খারাপ পরিস্থিতিকে উন্নত করার চেষ্টা করুন। (Then calmly try to improve upon the worst.)

এই পদ্ধতি দুশ্চিন্তার চরম অবস্থা থেকে মনকে দ্রুত শান্ত করে সমস্যা সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে।

৩. দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর কৌশল: ব্যস্ততা

শারীরিক বা মানসিক কাজ করে নিজেকে ব্যস্ত রাখা দুশ্চিন্তা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার ডায়েরির উক্তি, “দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর উপায় হল ব্যস্ত থাকুন।” — এটি সরাসরি কার্নেগীর কেন্দ্রীয় থিম। যখন মন গঠনমূলক কাজে মগ্ন থাকে, তখন মস্তিষ্ক দুশ্চিন্তা করার জন্য সময় বা শক্তি পায় না। কর্মই হল দুশ্চিন্তার বিরুদ্ধে শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার।

৪. সমালোচনার মোকাবিলা (How to keep from worrying about criticism)

কার্নেগী দেখিয়েছেন, অন্যের অযৌক্তিক সমালোচনা প্রায়শই ছদ্মবেশী প্রশংসা। মানুষ সাধারণত সেই জিনিসগুলোকেই সমালোচনা করে যা তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে বা যা ঈর্ষার উদ্রেক করে।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার দ্বিতীয় উক্তিটি, “মরা কুকুরকে কেউ লাথি মারে না।” — এটি এই অধ্যায়ের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতীকী বাক্য। এর অর্থ হলো, যতক্ষণ আপনি জীবিত এবং সক্রিয়, ততক্ষণ আপনি সমালোচিত হবেন। যদি আপনি সমাজের জন্য কিছু না করেন, তবে আপনাকে নিয়ে কারও মাথাব্যথা থাকবে না। সমালোচিত হচ্ছেন মানে, আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু করছেন।

৫. ভালোবাসার দর্শন: প্রত্যাশাহীন দান

সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা এড়ানোর জন্য কার্নেগী প্রত্যাশাহীন ভালোবাসার উপর জোর দিয়েছেন। মানুষের কাছ থেকে প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা আশা করলে হতাশা আসে।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার শেষ উক্তিটি, “পৃথিবীতে ভালোবাসার একটি মাত্র উপায় আছে। সেটা হল প্রতিদান পাওয়ার আশা না করে শুধু ভালোবেসে যাওয়া।” — এটি মানসিক শান্তি বজায় রাখার একটি অসাধারণ উপায়। যখন আপনি প্রতিদানের আশা না করে ভালো কিছু করেন, তখন আপনি অন্যের আচরণের উপর আপনার সুখের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেন এবং নিজেকে হতাশামুক্ত রাখেন।

৬. কৃতজ্ঞতার অভ্যাস: জীবনের প্রাপ্তির হিসাব

দুশ্চিন্তার মূলে থাকে মানুষ যা পায়নি বা যা হারিয়েছে, সেদিকে মনোনিবেশ করা। এর সমাধান হলো আপনার জীবনে যা কিছু আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার প্রথম এবং সবচেয়ে ইতিবাচক উক্তি, “জীবনে পাওয়ার হিসাব করুন, না পাওয়ার দুঃখ থাকবে না।” — এই বাক্যটি কৃতজ্ঞতার অভ্যাস তৈরি করতে শেখায়। প্রতিদিন নিজের প্রাপ্তিগুলো লিখলে বা মনে করলে মন নেতিবাচকতা থেকে সরে এসে ইতিবাচকতায় ভরপুর হয়, যা দুশ্চিন্তা প্রতিরোধ করে।

৭. স্বাস্থ্য ও অবসাদের সমাধান (Preventing Fatigue and Worry)

কার্নেগী বলেছেন, আমরা কাজের চেয়ে বেশি ক্লান্ত হই দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে। তাই ক্লান্তি দূর করার কৌশল দুশ্চিন্তা দূর করারই কৌশল। আরাম করার আগে বিশ্রাম নিন (Rest before you get tired)— এই পরামর্শটি কর্মজীবনে অবসাদ এড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


সূত্র:

  1. Carnegie, Dale. How to Stop Worrying and Start Living. Simon and Schuster, 1948.
  2. Dale Carnegie & Associates, Inc. (Official Training Principles and Time-Tested Methods).
  3. Osler, Sir William. A Way of Life (১৮৯০ সালের বক্তব্য, যা কার্নেগীর বইয়ে বিশেষভাবে উল্লিখিত)।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

১ লাখ টাকায় দিনে ৪০০০ টাকা আয়

নিউজ ডেস্ক

November 26, 2025

শেয়ার করুন

প্রতিবেদক : বিডিএস বুলবুল আহমেদ

আপনি যদি এখন ঘরে বসে থাকেন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে চান, তবে আপনার হাতে থাকা একটি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপই যথেষ্ট। বর্তমান সময়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো ঘরে বসেই আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু আপনার প্রধান জিজ্ঞাসা: এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কি সত্যিই প্রতিদিন ৪০০০ টাকা আয় করা সম্ভব?

হ্যাঁ, সম্ভব। কিন্তু এটি কোনো তাৎক্ষণিক বা ম্যাজিক স্কিম নয়। প্রতিদিন ৪০০০ টাকা আয় করতে হলে আপনাকে এক লাখ টাকাকে বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা এবং একটি প্রমাণিত ব্যবসায়িক মডেলে বিনিয়োগ করতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর এবং বিশ্বাসযোগ্য ১০টি অনলাইন ইনকাম সোর্স নিচে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো।

১ লাখ টাকার বিনিয়োগে প্রতিদিন ৪০০০ টাকা আয়ের বাস্তবভিত্তিক বিশ্লেষণ

প্রতিদিন ৪০০০ টাকা আয় মানে মাসে প্রায় ১,২০,০০০ টাকা (৪০০০ x ৩০ দিন)। আপনার ১ লাখ টাকা বিনিয়োগকে এই লক্ষে পৌঁছাতে হলে প্রতি মাসে বিনিয়োগের ওপর ১২০% রিটার্ন (ROI) নিশ্চিত করতে হবে। এটি সাধারণত শুধুমাত্র উচ্চ ঝুঁকির ফটকা কারবার বা অবৈধ স্কিমে সম্ভব, যা কখনোই টেকসই নয়।

তবে, আপনার ১ লাখ টাকা যদি সঠিক দক্ষতা অর্জন এবং ডিজিটাল ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়, তবে একটি নির্দিষ্ট সময় (৬ থেকে ১২ মাস) পর এই লক্ষে পৌঁছানো সম্ভব।

বিনিয়োগের খাতপ্রয়োজনীয় দক্ষতাবিনিয়োগের আনুমানিক খরচদৈনিক ৪০০০ টাকা আয়ের রোডম্যাপ
ফ্রিল্যান্সিং/সার্ভিস এজেন্সির ভিত্তিডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন (উন্নত), কন্টেন্ট রাইটিং, SEO$300 – $500 (উন্নত কোর্স, ডোমেইন, হোস্টিং, টুলস)রোডম্যাপ: উন্নত দক্ষতা অর্জনের পর আপনার এজেন্সি তৈরি করুন। একাধিক ক্লায়েন্টকে উচ্চ মূল্যের (High-Ticket) সার্ভিস বিক্রি করুন। ৪-৫ জন আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের কাছ থেকে মাসিক $700- $1000 করে আয় করলে দৈনিক গড় আয় ৪০০০+ টাকা হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (অথরিটি সাইট)SEO, টার্গেটেড কন্টেন্ট রাইটিং, ইমেইল মার্কেটিং$500 – $800 (উচ্চ মানের হোস্টিং, প্রিমিয়াম থিম, কন্টেন্ট তৈরির জন্য লেখক)রোডম্যাপ: একটি নির্দিষ্ট নিশ (Niche) নিয়ে অথরিটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। প্রথম ৬ মাসে ১০০টি মানসম্মত রিভিউ কন্টেন্ট পোস্ট করুন। এরপর বিজ্ঞাপন এবং অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে ট্র্যাফিক অনুযায়ী আয় বাড়বে। দৈনিক ৪০০০ টাকা পেতে হলে আপনার সাইটে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০,০০০+ ভিজিটর প্রয়োজন।
অনলাইন কোর্স বা ডিজিটাল পণ্য তৈরিনির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর জ্ঞান (যেমন- ডেটা সায়েন্স, অ্যাডভান্সড গ্রাফিক্স)$200 – $500 (কোর্স রেকর্ডিং টুলস, প্ল্যাটফর্ম ফি, প্রাথমিক বিজ্ঞাপন)রোডম্যাপ: একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ে কোর্স তৈরি করুন। প্রাথমিক ১ লাখ টাকা দিয়ে ফেসবুক/ইউটিউবে টার্গেটেড অ্যাড ক্যাম্পেইন চালান। কোর্সের মূল্য যদি ৫০০০ টাকা হয়, তবে দৈনিক মাত্র ১টি বিক্রি হলেই আপনি খরচ বাদে এই লক্ষে পৌঁছাতে পারবেন।

অনলাইনে টাকা আয় করার ১০টি প্রমাণিত ও বিশ্বস্ত উপায়

বর্তমানে অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা আপনার জ্ঞান, সৃজনশীলতা, শখ এবং প্যাশনকে ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ দেয়। নিচে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ১০টি উপায় তুলে ধরা হলো:

১. ফ্রিল্যান্সিং: দক্ষতার বিশ্বব্যাপী বাজার

ফ্রিল্যান্সিং হলো আপনার দক্ষতা বা ‘স্কিল’ কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করার সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈধ মাধ্যম। এখানে আপনি নিজের সময় ও পছন্দ অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পারেন।

  • উপায়: গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
  • প্ল্যাটফর্ম: Upwork, Fiverr, Freelancer, PeoplePerHour
  • আয়ের প্রক্রিয়া: আপনার প্রোফাইলে দক্ষতা ও রেটিং প্রদর্শন করুন। ক্লায়েন্ট কাজ দিলে তা শেষ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট নিন।

২. কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং: জ্ঞানের বিনিময়ে আয়

কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং হলো অনলাইনে লেখালেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং স্থিতিশীল পথ। আপনি যদি সুন্দর, সাবলীল এবং পাঠকবান্ধব লেখা তৈরি করতে পারেন, তবে এটি আপনার জন্য আদর্শ।

  • উপায়: নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে (ব্লগিং) অথবা ক্লায়েন্টের জন্য লেখালেখি (কন্টেন্ট রাইটিং)।
  • আয়ের প্রক্রিয়া (ব্লগিং): ব্লগে ভিজিটর বাড়লে Google AdSense বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পনসরড পোস্ট এবং ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে আয় করা যায়।
  • প্রাসঙ্গিকতা (১৯৫০-২০২৫): ১৯৫০-এর দশকে সংবাদপত্র এবং বই-পুস্তক ছিল একমাত্র মাধ্যম। ২০০০ সালের পর ইন্টারনেট বিপ্লব এবং বর্তমানে ২০২৫ সালে এসে ব্লগিং ও কন্টেন্ট রাইটিং একটি পূর্ণাঙ্গ পেশায় পরিণত হয়েছে।

৩. ইউটিউবিং: ভিডিও প্ল্যাটফর্মে সৃজনশীলতা বিক্রি

ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। টেক, রান্না, মিউজিক, শিক্ষা, গেমিং, ভ্রমণ বা রিভিউ—যে কোনো বিষয়ে একটি চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায়।

  • শর্তাবলী: মনিটাইজেশনের জন্য ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম প্রয়োজন।
  • আয়ের উৎস: ইউটিউব অ্যাড, স্পন্সরশিপ, ব্র্যান্ড ডিল, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এবং ইউটিউব মেম্বারশিপ।

৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: কমিশন-ভিত্তিক আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য কোনো কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রচার করে বিক্রি হলে কমিশন আয়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এতে নিজের পণ্য, স্টক বা কাস্টোমার সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

  • প্ল্যাটফর্ম: Amazon Associates, Daraz Affiliate, ClickBank
  • পদ্ধতি: আপনার ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সঠিক রিভিউ দিয়ে পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে দিন। কেউ সেই লিংক ব্যবহার করে কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।

৫. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি: প্যাসিভ ইনকাম সোর্স

আপনার যেকোনো বিশেষ দক্ষতা (যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, কোডিং, ভাষা শিক্ষা, উন্নত রান্না) একটি কোর্সের রূপ দিয়ে হাজারো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এটি একটি শক্তিশালী প্যাসিভ ইনকাম সোর্স।

  • হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম: Udemy, Skillshare, Coursera অথবা নিজের ওয়েবসাইট।
  • সুবিধা: একটি কোর্স একবার তৈরি করলে বহু বছর ধরে তা থেকে আয় করা সম্ভব।

৬. ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং

নিজের ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা। ড্রপশিপিং হলো স্টক না রেখেই পণ্য বিক্রি করা, যেখানে সরবরাহকারী সরাসরি গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়।

৭. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) এজেন্সি

বিভিন্ন ছোট-বড় কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম) পরিচালনা করা, বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন চালানো এবং কন্টেন্ট তৈরি করে তাদের ব্যবসার প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

৮. স্টক ফটোগ্রাফি বিক্রি

আপনি যদি ভালো ছবি তুলতে পারেন, তবে Shutterstock, Adobe Stock-এর মতো ওয়েবসাইটে আপনার ছবি বিক্রি করে রয়্যালটি ইনকাম করতে পারেন। একবার আপলোড করার পর এটি বারবার বিক্রি হতে পারে।

৯. মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা গেম ডেভেলপমেন্ট

যদি আপনার কোডিং দক্ষতা থাকে, তবে একটি দরকারি মোবাইল অ্যাপ বা ছোট গেম তৈরি করে Google Play Store বা Apple App Store-এ পাবলিশ করতে পারেন। অ্যাপের মধ্যে বিজ্ঞাপন (AdSense) বা প্রিমিয়াম ফিচারের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

১০. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (VA) সার্ভিস

ব্যস্ত ব্যবসায়ী বা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য দূর থেকে প্রশাসনিক, প্রযুক্তিগত বা সৃজনশীল কাজগুলো পরিচালনা করা। এর মধ্যে ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, শিডিউলিং, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজ অন্তর্ভুক্ত।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

সফল হওয়ার ১০টি কৌশল

নিউজ ডেস্ক

November 26, 2025

শেয়ার করুন

প্রতিবেদক: বিডিএস বুলবুল আহমেদ

স্বপ্ন পূরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা প্রায়শই আসে বাইরের জগৎ থেকে—যা হলো মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য, সমালোচনা বা হতাশা। একজন স্বপ্নবান মানুষের লক্ষ্য থাকে আকাশ ছোঁয়া, কিন্তু আশেপাশের মানুষের কথা অনেক সময়ই সেই পথ থেকে তাকে বিচ্যুত করতে পারে।

সফল হতে চাইলে কীভাবে বাইরের কোলাহলকে উপেক্ষা করে নিজের লক্ষ্যের দিকে অবিচল থাকা যায়, তার জন্য নিচে ১০টি দৃঢ় পদক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ ‘রি-লিংক’ বা প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে ধরা হলো, যা আপনাকে নীরবভাবে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

১. লক্ষ্য নির্ধারণে দৃঢ়তা আনুন: ‘কোলাহল’ হবে অপ্রাসঙ্গিক

আপনার জীবনের মূল উদ্দেশ্য কী, তা স্পষ্ট করে ঠিক করুন। যখন আপনার লক্ষ্য পরিষ্কার থাকে, তখন বাইরের কোনো মন্তব্যই আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না—কারণ আপনার মনোযোগ কেবল গন্তব্যের দিকে।

গুরুত্বপূর্ণ ‘রি-লিংক’: কেবল অর্থ উপার্জন নয়, আপনার লক্ষ্য নির্ধারণে যদি কোনো সামাজিক বা নৈতিক দায়বদ্ধতা ‘রি-লিংক’ থাকে, তবে বাইরের সমালোচনা আরও তুচ্ছ হয়ে যায়। যেমন: আপনি ইউটিউবার হতে চান (উদাহরণ), কিন্তু আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি করা, তবে সমালোচকের মন্তব্য আপনার সৎ উদ্দেশ্যকে বাতিল করতে পারবে না।

২. আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন: সাফল্যের প্রথম সিঁড়ি

নিজের ক্ষমতার ওপর অগাধ বিশ্বাস রাখা সাফল্যের জন্য অত্যাবশ্যক। অন্যের কথা তখনই আপনাকে বিচলিত করতে পারবে, যখন আপনার আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকবে।

৩. নেতিবাচকতা এড়িয়ে চলুন: আপনার পথ সঠিক হলে থামবেন না

লোকে কিছু না কিছু বলবেই। সমালোচকরা সব সময় অন্যের কাজে খুঁত ধরেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার পথের সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত থাকেন, তবে থামবেন না।

৪. নিজের শক্তি ও দুর্বলতা বুঝুন: ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিন

আপনি কোন কাজে দক্ষ এবং আপনার সীমাবদ্ধতা কোথায়—এটি জানা মানেই অর্ধেক সাফল্য অর্জন করা। দুর্বলতা বুঝে এগোলে অযাচিত ঝুঁকি এড়ানো সহজ হয়।

৫. নিরবিচারে শিখে যান: জ্ঞানই নীরব প্রতিশোধ

নতুন জ্ঞান অর্জন এবং দক্ষতা বিকাশের মাঝেই আপনার ভবিষ্যতের বিজয় লুকিয়ে থাকে। শেখার প্রক্রিয়ায় মগ্ন থাকলে অন্যের সমালোচনা শোনার সময় থাকবে না।

৬. সময়ের সদ্ব্যবহার করুন: মনোযোগ দিন দক্ষতার ওপর

সমালোচনা, গুজব বা অনর্থক চিন্তায় সময় নষ্ট না করে সম্পূর্ণ মনোযোগ নিজের দক্ষতা ও লক্ষ্যের প্রতি নিবদ্ধ করুন। সময় হলো সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।

৭. ধৈর্য ও অধ্যবসায় রাখুন: দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য

সাফল্য একদিনে আসে না। এটি নিয়মিত চর্চা, চেষ্টা আর ধৈর্যের ফল। বারবার ব্যর্থ হলেও লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন না।

৮. ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গ নিন: অনুপ্রেরণার উৎস

যারা আপনাকে সাহস, অনুপ্রেরণা ও সমর্থন দেয়, শুধু তাদের সঙ্গেই থাকুন। নেতিবাচক পরিবেশ আপনার উদ্যমকে মেরে ফেলে।

৯. নিজের অর্জনে মন দিন: কাজই শেষ কথা

লোকে কী বলল, তাতে কান না দিয়ে আপনি কী করলেন, কতটুকু উন্নতি করলেন—সেটাই আসল। কাজের মাধ্যমে নিজের শক্তিকে প্রমাণ করুন।

১০. শেষ জবাব সাফল্যই দেবে: নীরব প্রতিশোধ

যখন আপনি সফল হবেন, তখন আর কোনো কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। আপনার কীর্তিই হয়ে উঠবে নীরব অথচ সবচেয়ে কার্যকর জবাব।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ