লাইফ স্টাইল

ডান কাত হয়ে ঘুমানোর বৈজ্ঞানিক উপকারিতা:
বৈজ্ঞানিক উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক

July 5, 2025

শেয়ার করুন

আমরা অনেকেই জানি না, তবে ঘুমানোর ভঙ্গি আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষভাবে ডান কাত হয়ে ঘুমানো আমাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী হতে পারে। চলুন জানি কেন:

ঘুমানোর বিভিন্ন ভঙ্গি:

১. পেটের উপর ঘুমানো:
এভাবে ঘুমালে আমাদের ফুসফুসে চাপ পড়ে, যা নিঃশ্বাস নিতে কষ্টকর করে তোলে। ফলে, এটি স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

২. বাম কাত হয়ে ঘুমানো:
এই অবস্থায় হজমের সমস্যা হতে পারে, কারণ ডান ফুসফুস বড় হওয়ার কারণে হৃদপিণ্ড এবং যকৃৎকে চাপ দেওয়া হয়, যা তাদের সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দেয়। তাই, এটি একে অপরের তুলনায় কম সুবিধাজনক।

৩. ডান কাত হয়ে ঘুমানো:
এটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং উপকারী। কারণ বাম ফুসফুস ছোট এবং যকৃৎ শরীরের নিচে থাকায় চাপ কম পড়ে। ফলে, হজম সহজ এবং দ্রুত হয়।

হাদীস দ্বারা প্রমাণ:

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“যখন তুমি শোবার যায়, তখন নামাযের ওযু করো, তারপর ডান কাত হয়ে শুয়ে পড়ো এবং বলো:

اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ…”

(সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  • দ্রুত হজম: ডান কাত হয়ে শোয়া হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
  • শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা: যকৃৎ এবং ফুসফুসের উপর চাপ কমে, ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

প্রাচীন বাণী:

  • পিঠের উপর ঘুমানো: রাজাদের ঘুম
  • পেটের উপর ঘুমানো: শয়তানের ঘুম
  • বাম কাত হয়ে ঘুমানো: ধনীদের ঘুম (অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে)
  • ডান কাত হয়ে ঘুমানো: পরহেযগার ও আলেমদের ঘুম

উপসংহার:

এটি স্পষ্ট যে, ডান কাত হয়ে ঘুমানো শুধু স্বাস্থ্যসম্মত নয়, এটি আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্যও উপকারী, যেহেতু এটি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর অভ্যাস ছিল। তাই, এই উপকারিতা সবাইকে জানানো উচিত এবং আমাদের জীবনে এটি অনুসরণ করা উচিত।

প্রতিবেদক: BDS Bulbul Ahmed 

আরও বিশ্বসংবাদ জানতে চোখ রাখুন পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

হিজামা

নিউজ ডেস্ক

November 26, 2025

শেয়ার করুন

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে হিজামা বা কাপিং থেরাপি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই থেরাপির মাধ্যমে অনেকেই পুরনো বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। আপনার মতো অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে হিজামা করে এর সুফল পেয়েছেন, বিশেষ করে ব্যাক পেইন বা পিঠের ব্যথা উপশমের ক্ষেত্রে। কিন্তু কীভাবে কাজ করে এই প্রাচীন পদ্ধতি, এবং কেনই বা এটি এত দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে?

এই কন্টেন্টে হিজামা থেরাপি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন এবং এর প্রাসঙ্গিকতা (রি-লিংক) আলোচনা করা হলো:

১. হিজামা থেরাপির মূল ধারণা ও প্রাচীন ভিত্তি

হিজামা শব্দটি আরবি শব্দ ‘হাজম’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘টেনে নেওয়া’ বা ‘চুষে নেওয়া’। এটি ত্বক এবং মাংসপেশির ওপর সাকশন (Vacuum) তৈরি করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার একটি পদ্ধতি।

  • ঐতিহাসিক ভিত্তি: হিজামা কেবল একটি ইসলামিক ‘সুন্নাহ’ পদ্ধতি নয়; এর প্রাচীন শিকড় রয়েছে। খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকেই এটি প্রাচীন মিশরীয়, গ্রিক এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হতো, যেখানে বিশ্বাস করা হতো এটি শরীরের ‘খারাপ রস’ বা দূষিত রক্ত বের করে আনে।

২. ভেজা হিজামা (Wet Cupping): কার্যকারিতার মূল রহস্য

হিজামার কার্যকারিতার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ভেজা হিজামা (Wet Cupping)। এই প্রক্রিয়াটিকে কেন আধুনিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়?

  1. প্রথম সাকশন (শুকনো কাপিং): প্রথমে কাপ বসিয়ে ত্বকের উপরিভাগে তীব্র রক্ত সঞ্চালন সৃষ্টি করা হয়।
  2. ক্ষুদ্র কাট: এরপর জীবাণুমুক্ত সূক্ষ্ম ব্লেড বা ল্যানসেট দিয়ে অত্যন্ত হালকা কিছু কাট তৈরি করা হয় (যা ত্বকের গভীর স্তর পর্যন্ত পৌঁছায় না)।
  3. দ্বিতীয় সাকশন: পুনরায় কাপ বসিয়ে সাকশন তৈরি করে ওই স্থান থেকে টক্সিনযুক্ত রক্ত বের করে আনা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন ও হাইলাইট: বিজ্ঞানসম্মতভাবে এই রক্তকে ক্যাপিলারি রক্ত (Capillary Blood) বলা হয়। ধারণা করা হয়, এই রক্তে বিপাকের ফলে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ, প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান এবং কিছু টক্সিন থাকে, যা বের হয়ে এলে শরীরে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

৩. হিজামার গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা (যা আপনার অভিজ্ঞতার সঙ্গে রি-লিংক করে)

হিজামা থেরাপির জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে এর প্রমাণিত উপশম ক্ষমতা, বিশেষ করে ব্যথা ব্যবস্থাপনায়।

  • ব্যথা উপশম (Pain Relief): হিজামা স্থানীয়ভাবে রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয় এবং পেশীতে জমে থাকা টান ও প্রদাহ কমায়।রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার ব্যক্তিগত ব্যাক পেইন উপশমের অভিজ্ঞতা এই দাবির সত্যতা বহন করে। হিজামা মাইগ্রেন, সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস এবং মাসল স্পাজম-এর মতো দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
  • রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: এটি শরীরের স্থানীয় অঞ্চলে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে টিস্যুগুলিতে অক্সিজেন এবং পুষ্টির সরবরাহ উন্নত করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: দূষিত রক্ত অপসারণের মাধ্যমে এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য (হোমিওস্ট্যাসিস) বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারে।
  • হজম ও স্নায়ু নিয়ন্ত্রণ: শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে কাপিং করা হলে তা প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করতে পারে, যা স্ট্রেস কমায় এবং হজম শক্তি উন্নত করে।

৪. আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপটে হিজামা

যদিও হিজামা একটি প্রাচীন পদ্ধতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির কার্যকারিতা মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়েছে। কিছু আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী, হিজামা হতে পারে:

  1. অ-ফার্মাকোলজিক্যাল চিকিৎসা: অর্থাৎ, এটি কোনো ওষুধ বা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করেই কাজ করে।
  2. স্থানীয় প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ: কাপিং থেরাপি শরীরে মৃদু প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা শরীরকে ওই স্থানে দ্রুত নিরাময় প্রক্রিয়া শুরু করতে বাধ্য করে।

৫. সতর্কতা: নিরাপদ হিজামা নিশ্চিত করুন

হিজামা করার আগে এবং পরে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক:

  • পেশাদার থেরাপিস্ট: হিজামা থেরাপি অবশ্যই যোগ্য, লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষিত থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।
  • জীবাণুমুক্তকরণ: ভেজা হিজামার ক্ষেত্রে, সংক্রমণ এড়াতে ব্যবহৃত ব্লেড/ল্যানসেট এবং কাপগুলো অবশ্যই একবার ব্যবহারযোগ্য ও জীবাণুমুক্ত (Sterile and Disposable) হতে হবে।
  • পরামর্শ: রক্ত জমাট বাঁধা, হিমোফিলিয়া বা গুরুতর হৃদরোগের সমস্যা থাকলে হিজামা করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

হিজামা থেরাপি কেবল একটি নিরাময় পদ্ধতি নয়, এটি স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় রাখার একটি প্রাচীন জীবনধারা, যা সঠিক নিয়মে অবলম্বন করলে আপনার মতো অনেকেই দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে পারেন।


সূত্র:

  1. World Health Organization (WHO) Traditional Medicine Strategy and Guidelines.
  2. The American Cupping Therapy Association (ACTA) Research and Studies.
  3. Journal of Acupuncture and Meridian Studies (JAM) – Studies on Wet Cupping Efficacy.
  4. বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ফিকহ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সূত্র।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

বিষয়ঃ

ডেল কার্নেগী

নিউজ ডেস্ক

November 26, 2025

শেয়ার করুন

ডেল কার্নেগীর ‘How to Stop Worrying and Start Living’ বইটি শুধু একটি মোটিভেশনাল গ্রন্থ নয়, এটি জীবনের জটিল দুশ্চিন্তা দূর করে আনন্দময় ও কর্মময় জীবন যাপনের জন্য একটি পরীক্ষিত গাইডলাইন। বহু মানুষের জীবনে এটি আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে, ঠিক যেমন আপনি আপনার জীবনে এর প্রভাব অনুভব করেছেন।

আপনি যে ছোট ছোট বাক্যগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখতেন, সেগুলোই এই বইয়ের মূল দর্শন। এই কন্টেন্টে আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশনগুলো বিশ্লেষণ করব এবং দেখব কীভাবে এই দর্শনগুলি আমাদের জীবনের সঙ্গে রি-লিংক করে।

১. জীবন দর্শনের মূলমন্ত্র: ‘আজকের জন্য বাঁচুন’ (Live in Day-Tight Compartments)

কার্নেগীর এই বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন এবং প্রথম শিক্ষা হলো—’এক দিনের কামরায় বাস করা’। অর্থাৎ, অতীত বা ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা না করে শুধুমাত্র আজকের দিনটির ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা।

স্যার উইলিয়াম অসলারের (Sir William Osler, জনহিতকর চিকিৎসক) জীবন থেকে এই দর্শন গ্রহণ করে কার্নেগী বলেন, আপনার জীবনকে জল-আঁটা কামরার মতো করে ভাগ করুন। গতকালের দুশ্চিন্তার ভার বা আগামীকালের অনিশ্চয়তা আজকের দিনে টেনে আনবেন না।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনি যেমন লিখেছেন, “যা আপনাকে পীড়া দেয়, এমন বিষয় নিয়ে এক মিনিটের বেশি ভাববেন না।” — এর মূলে রয়েছে আজকের দিনে বাঁচার এই কৌশল। যে দুশ্চিন্তা আজকের নয়, তাকে আজকের ‘কামরা’-তে প্রবেশ করতে দেবেন না।

২. দুশ্চিন্তা বিশ্লেষণের জাদু সূত্র

উইলিস এইচ. ক্যারিয়ার (Willis H. Carrier, এয়ার কন্ডিশনারের আবিষ্কারক) থেকে নেওয়া একটি তিন-ধাপের জাদু সূত্র কার্নেগী শিখিয়েছেন। এই সূত্রটি দুশ্চিন্তাকে স্থির এবং যৌক্তিক উপায়ে মোকাবিলা করার পথ দেখায়:

  1. সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কী হতে পারে? (What is the worst that can possibly happen?)
  2. সেই খারাপ পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত হন। (Prepare to accept the worst.)
  3. এরপর শান্তভাবে সেই খারাপ পরিস্থিতিকে উন্নত করার চেষ্টা করুন। (Then calmly try to improve upon the worst.)

এই পদ্ধতি দুশ্চিন্তার চরম অবস্থা থেকে মনকে দ্রুত শান্ত করে সমস্যা সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে।

৩. দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর কৌশল: ব্যস্ততা

শারীরিক বা মানসিক কাজ করে নিজেকে ব্যস্ত রাখা দুশ্চিন্তা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার ডায়েরির উক্তি, “দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর উপায় হল ব্যস্ত থাকুন।” — এটি সরাসরি কার্নেগীর কেন্দ্রীয় থিম। যখন মন গঠনমূলক কাজে মগ্ন থাকে, তখন মস্তিষ্ক দুশ্চিন্তা করার জন্য সময় বা শক্তি পায় না। কর্মই হল দুশ্চিন্তার বিরুদ্ধে শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার।

৪. সমালোচনার মোকাবিলা (How to keep from worrying about criticism)

কার্নেগী দেখিয়েছেন, অন্যের অযৌক্তিক সমালোচনা প্রায়শই ছদ্মবেশী প্রশংসা। মানুষ সাধারণত সেই জিনিসগুলোকেই সমালোচনা করে যা তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে বা যা ঈর্ষার উদ্রেক করে।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার দ্বিতীয় উক্তিটি, “মরা কুকুরকে কেউ লাথি মারে না।” — এটি এই অধ্যায়ের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতীকী বাক্য। এর অর্থ হলো, যতক্ষণ আপনি জীবিত এবং সক্রিয়, ততক্ষণ আপনি সমালোচিত হবেন। যদি আপনি সমাজের জন্য কিছু না করেন, তবে আপনাকে নিয়ে কারও মাথাব্যথা থাকবে না। সমালোচিত হচ্ছেন মানে, আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু করছেন।

৫. ভালোবাসার দর্শন: প্রত্যাশাহীন দান

সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা এড়ানোর জন্য কার্নেগী প্রত্যাশাহীন ভালোবাসার উপর জোর দিয়েছেন। মানুষের কাছ থেকে প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা আশা করলে হতাশা আসে।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার শেষ উক্তিটি, “পৃথিবীতে ভালোবাসার একটি মাত্র উপায় আছে। সেটা হল প্রতিদান পাওয়ার আশা না করে শুধু ভালোবেসে যাওয়া।” — এটি মানসিক শান্তি বজায় রাখার একটি অসাধারণ উপায়। যখন আপনি প্রতিদানের আশা না করে ভালো কিছু করেন, তখন আপনি অন্যের আচরণের উপর আপনার সুখের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেন এবং নিজেকে হতাশামুক্ত রাখেন।

৬. কৃতজ্ঞতার অভ্যাস: জীবনের প্রাপ্তির হিসাব

দুশ্চিন্তার মূলে থাকে মানুষ যা পায়নি বা যা হারিয়েছে, সেদিকে মনোনিবেশ করা। এর সমাধান হলো আপনার জীবনে যা কিছু আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া।

রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার প্রথম এবং সবচেয়ে ইতিবাচক উক্তি, “জীবনে পাওয়ার হিসাব করুন, না পাওয়ার দুঃখ থাকবে না।” — এই বাক্যটি কৃতজ্ঞতার অভ্যাস তৈরি করতে শেখায়। প্রতিদিন নিজের প্রাপ্তিগুলো লিখলে বা মনে করলে মন নেতিবাচকতা থেকে সরে এসে ইতিবাচকতায় ভরপুর হয়, যা দুশ্চিন্তা প্রতিরোধ করে।

৭. স্বাস্থ্য ও অবসাদের সমাধান (Preventing Fatigue and Worry)

কার্নেগী বলেছেন, আমরা কাজের চেয়ে বেশি ক্লান্ত হই দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে। তাই ক্লান্তি দূর করার কৌশল দুশ্চিন্তা দূর করারই কৌশল। আরাম করার আগে বিশ্রাম নিন (Rest before you get tired)— এই পরামর্শটি কর্মজীবনে অবসাদ এড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


সূত্র:

  1. Carnegie, Dale. How to Stop Worrying and Start Living. Simon and Schuster, 1948.
  2. Dale Carnegie & Associates, Inc. (Official Training Principles and Time-Tested Methods).
  3. Osler, Sir William. A Way of Life (১৮৯০ সালের বক্তব্য, যা কার্নেগীর বইয়ে বিশেষভাবে উল্লিখিত)।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

The correct way to eat cashews, nuts and raisins

নিউজ ডেস্ক

November 26, 2025

শেয়ার করুন

কাঠ বাদাম (Almonds), কাজু বাদাম (Cashews) এবং কিশমিশ (Raisins) তিনটিই হলো ‘সুপারফুড’ বা অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার, যা সঠিক নিয়মে গ্রহণ করলে সর্বাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

১. কাঠ বাদাম (Almonds) খাওয়ার নিয়ম

কাঠ বাদাম ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের একটি চমৎকার উৎস।

কখন এবং কীভাবে খাবেন?

বিষয়নিয়মউপকারিতা
সঠিক পদ্ধতিভিজিয়ে খাওয়া (অবশ্যই)। রাতে ৮-১০টি কাঠ বাদাম পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খোসা ছাড়িয়ে খালি পেটে বা জলখাবারের সাথে খান।বাদামের খোসায় ট্যানিন নামক একটি এনজাইম ইনহিবিটর থাকে, যা পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। ভিজিয়ে রাখলে এই উপাদানটি নিষ্ক্রিয় হয় এবং হজম সহজ হয়।
সময়সকালে খালি পেটে বা জলখাবারের সাথে। অথবা সন্ধ্যার নাস্তায়।মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, হার্ট ভালো রাখা এবং দিনের শুরুতেই শক্তির জোগান দেওয়া।
পরিমাণদিনে ৬ থেকে ১০টি বাদাম (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)।অতিরিক্ত বাদাম খেলে ক্যালোরি বেড়ে যেতে পারে।
সতর্কতাবাদামের খোসা ফেলে খাওয়া উচিত, বিশেষত যদি হজমের সমস্যা থাকে।

২. কাজু বাদাম (Cashews) খাওয়ার নিয়ম

কাজু বাদাম হলো কপার, আয়রন, জিঙ্ক এবং মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের একটি ভালো উৎস। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

কখন এবং কীভাবে খাবেন?

বিষয়নিয়মউপকারিতা
সঠিক পদ্ধতিসরাসরি বা হালকা ভেজে খাওয়া। কাঠ বাদামের মতো কাজু বাদাম ভেজানোর প্রয়োজন হয় না, তবে এতে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড কমানোর জন্য ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে।এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
সময়দুপুরের খাবারের পর (স্ন্যাকস হিসেবে) বা সকালের নাস্তায়। ওয়ার্কআউটের আগে/পরে শক্তি যোগাতে খাওয়া যেতে পারে।তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করা এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখা।
পরিমাণদিনে ৪ থেকে ৬টি কাজু বাদাম।কাজুতে ক্যালোরি এবং ফ্যাট তুলনামূলকভাবে বেশি, তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
সতর্কতাকাঁচা কাজু ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই সর্বদা প্রক্রিয়াজাত (Processsed) এবং হালকা ভাজা কাজু খান।

৩. কিশমিশ (Raisins) খাওয়ার নিয়ম (বিস্তারিত পর্যালোচনা)

আপনার দেওয়া আর্টিকেল অনুযায়ী কিশমিশ খাওয়ার নিয়ম নিচে সংক্ষেপে ও স্পষ্ট করে তুলে ধরা হলো:

কিশমিশ হলো প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং আয়রনের একটি চমৎকার উৎস।

সকালে খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার নিয়ম

১. প্রস্তুতি:

* রাতে এক মুঠো (১৫-২০টি) কিশমিশ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

* পাত্রটি ঢেকে রাখুন।

* কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা আবশ্যক।

২. সকালে গ্রহণ:

* সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রথমে ভেজানো কিশমিশগুলো খান।

* কিশমিশ খাওয়ার পর কিশমিশ ভেজানো পানিটুকু পান করুন। এই পানিতেই কিশমিশের বেশিরভাগ পুষ্টিগুণ মিশে থাকে।

৩. বিরতি:

* কিশমিশ ও পানি খাওয়ার পর কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অন্য কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করবেন না। এটি পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরে সঠিকভাবে শোষিত হতে সাহায্য করে।

কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়ার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব

  • সহজে পুষ্টি শোষণ: ভিজিয়ে রাখলে কিশমিশের পুষ্টিগুণ সহজে দ্রবীভূত হয় এবং শরীর দ্রুত শোষণ করতে পারে।
  • হজম সহজ: শুকনো কিশমিশে থাকা ইনহিবিটরি এনজাইম ভেজানোর পর নিষ্ক্রিয় হয়, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
  • ডিটক্সিফিকেশন: কিশমিশ ভেজানো পানি লিভারকে ডিটক্সিফাই (Detoxify) করতে এবং রক্ত শুদ্ধ করতে সহায়তা করে।

সতর্কতা:

  • ডায়াবেটিস: কিশমিশে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের কিশমিশের পরিমাণ সীমাবদ্ধ রাখা উচিত এবং গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
  • পরিমাণ: দৈনিক ১৫-২০টির বেশি কিশমিশ না খাওয়াই ভালো।

এই তিনটি খাবারই আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সঠিক নিয়মে রাখলে, তা আপনাকে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ