ইতিহাস
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার করুন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ কেবল একটি রাজনৈতিক মতাদর্শ নয়, এটি স্বাধীনতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও শোষণমুক্ত সমাজ (সোনার বাংলা) প্রতিষ্ঠার একটি সামগ্রিক দর্শন। তাঁর আদর্শের ধারক ও বাহক কারা—এই প্রশ্নটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই একটি গভীর ও জটিল আলোচনার জন্ম দেয়।
আপনার দেওয়া প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণের বিষয়টি রাজনৈতিক উত্তরাধিকার, ভিন্ন মতাদর্শের নেতা এবং নৈতিকতার মানদণ্ডে বিশ্লেষণ করছি:
১. রাজনৈতিক উত্তরাধিকার: ক্ষমতার কেন্দ্রে আদর্শের প্রতিচ্ছবি
রাজনৈতিক বিশ্লেষণে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রধান ধারক হিসেবে দাবি করে। এই দাবির মূল ভিত্তি হলেন তাঁর কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা:
- ধারণার দিক: শেখ হাসিনা সরাসরি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও পারিবারিক উত্তরাধিকারী। তাঁর নেতৃত্বেই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি (যেমন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, রূপকল্প ২০৪১) গ্রহণ করেছে।
- রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনার প্রদত্ত তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু নিজে ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আদর্শের রাজনীতির ধারক। ঠিক তেমনি, শেখ হাসিনা হলেন সেই আদর্শের প্রত্যক্ষ উত্তরাধিকারী, যিনি ৭৫-এর পর আদর্শের মূল ধারাকে পুনরায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন।
২. ভিন্ন মতাদর্শ ও ব্যক্তিত্বের আদর্শ (বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী)
অন্যদিকে, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী-এর মতো নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর ব্যক্তিগত আনুগত্য প্রকাশ করলেও, আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনৈতিক পথ থেকে ভিন্ন ধারার রাজনীতি অনুসরণ করেন।
- ধারণার দিক: তিনি হয়তো আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আদর্শের ধারক নন, তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব, সাহস এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি ব্যক্তিগত ত্যাগের আদর্শের ধারক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর রাজনীতি ভিন্ন হলেও, বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর সম্মান ও আনুগত্য অনস্বীকার্য।
- রি-লিংক ও হাইলাইট: আপনি যেমন উল্লেখ করেছেন, “দু’জন চলে গেছেন অনন্যউচ্চতায়, কিন্তু ভিন্ন ধারায়।”—এই কথাটিই প্রমাণ করে যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণের বিষয়টি একক রাজনৈতিক মঞ্চে সীমাবদ্ধ নয়; বরং বীরত্ব এবং দেশপ্রেমের মতো চারিত্রিক গুণাবলী ধারণের মাধ্যমেও তাঁর আদর্শের প্রতিচ্ছবি তৈরি হতে পারে।
৩. নৈতিকতার মানদণ্ড: আদর্শ বনাম অপব্যবহার
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক-বাহক নির্বাচনের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাটি আসে নৈতিকতার প্রশ্নে।
- নীতিহীনতার ধারক: আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী, চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত শোভন-রব্বানীদের মতো ছাত্রনেতারা নিজেদেরকে যতই বঙ্গবন্ধুর চেতনার ধারক বলুন না কেন, তাদের কার্যকলাপ চরমভাবে এই আদর্শের পরিপন্থী। বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং ছাত্র রাজনীতিতে নৈতিকতা ও ত্যাগের উপর জোর দিয়েছেন।রি-লিংক ও হাইলাইট: যে রাজনীতিতে চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার থাকে, তা কখনোই বঙ্গবন্ধুর শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আদর্শের ধারক হতে পারে না।
- ভিন্ন চেতনার ধারক: ভিপি নুরু যখন বলেন, “সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গড়তেই বঙ্গবন্ধু বাকশাল করেছিলেন”, তখন তিনি বঙ্গবন্ধুর একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে মূলত বঙ্গবন্ধুর প্রশাসনিক সুশৃঙ্খলার আদর্শের একটি দিক তুলে ধরেন।
- ভুক্তভোগীর অবস্থান: আবরার ফাহাদের মতো ছাত্র, যার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও, তথাকথিত ‘আদর্শের সৈনিকদের’ হাতে নিহত হন—এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, আদর্শের ধারক কেবল পরিচয়ে নয়, বরং কর্মে ও মানবতায় থাকতে হয়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনেছিলেন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে।
৪. প্রকৃত ধারক: রাষ্ট্র ও জনগণের চেতনা
সবশেষে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত ধারক কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দল নয়, বরং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি ও তার জনগণ:
- সংবিধান: বাংলাদেশের সংবিধান এবং রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতি (জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র) হলো বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনার আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ধারক।
- জনগণ: যে সাধারণ জনগণ এখনো ৭১-এর চেতনা, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা ধারণ করে, তারাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চিরন্তন বাহক।
সূত্র:
- বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান (মূলনীতিসমূহ)।
- শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা (বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন)।
- বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত রাজনৈতিক ভাষ্য (কালের কণ্ঠ, জাগো নিউজ ইত্যাদি)।
- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ সংক্রান্ত ইতিহাস।
প্রতিবেদক: বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার করুন
ভারতে Enforcement Directorate (ED) হল অর্থপাচার, বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘন ও আর্থিক অপরাধ তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত এক দশকে এই সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ ভারতে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
এ অভিযোগ কি সত্যি, নাকি অতিরঞ্জিত? নিচে প্রমাণ ও পরিসংখ্যানসহ বিশ্লেষণ দেওয়া হলো—
১. বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ED ব্যবহারের পরিসংখ্যান (২০১৪–২০২৪)
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম, সুপ্রিম কোর্ট রেকর্ড ও সরকারি তথ্য বিশ্লেষণে যা পাওয়া যায়:
The Indian Express (২০২৩) জানায়—
২০১৪ সালের পর ED যেসব রাজনৈতিক মামলায় তদন্ত করেছে, তার ৯৫% অভিযুক্তই বিরোধী দলীয় নেতা বা কর্মী।
সূত্র: Indian Express ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট।
Hindustan Times (২০২৪) জানায়—
২০১৪ সালের আগে প্রতি বছর গড়ে ৬০–৭০টি ED মামলা হতো। ২০১৪–এর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় গড়ে ৪০০–এর বেশি।
BBC, Reuters, Al-Jazeera সহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম লিখেছে—
ভারতে ED ও CBI–এর ব্যবহার বিরোধীদের বিরুদ্ধে “disproportionate and politically selective”।
Supreme Court of India ২০২২ সালে ED-এর ক্ষমতা বাড়ালেও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে “গুরুতর উদ্বেগ” বলে মন্তব্য করে।
➡️ এই তথ্যগুলো দেখায়: তদন্তের পরিমাণ বেড়েছে এবং তা বিরোধীদের দিকে বেশি লক্ষ্য করা হচ্ছে।
২. কোন কোন শীর্ষ বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে ED তদন্ত শুরু হয়?
বিগত বছরগুলোতে ED যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে, তাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন BJP–এর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ:
- আরবিন্দ কেজরিওয়াল (AAP)
- সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী (Congress)
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)
- হেমন্ত সরেন (JMM, জেল)
- সঞ্জয় রাউত (Shiv Sena)
- ফারুক আবদুল্লাহ (NC)
- শরদ পাওয়ার (NCP)
India Today Data Intelligence Unit (DIU) সাক্ষ্য দেয়—
তদন্ত শুরু হয়েছে মূলত নির্বাচন উপলক্ষ্যে বা রাজ্য সরকার পতনের ঠিক আগে।
৩. আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো কী বলছে? (রি-লিংক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ)
✔️ Freedom House (2024):
ভারতকে “Partly Free” ঘোষণা করে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর রাজনৈতিক ব্যবহারের সমালোচনা করে।
✔️ V-Dem Institute (2024):
ভারতকে “Electoral Autocracy” হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে।
✔️ Reporters Without Borders (RSF):
ভারতের প্রেস ফ্রিডম র্যাংক ১৬১ (পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নিচে)।
সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণের সরাসরি সম্পর্ক রাজনৈতিক তদন্ত সংস্থাগুলোর অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত বলে উল্লেখ করেছে।
✔️ Human Rights Watch (HRW):
ED ও CBI–এর মাধ্যমে বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে—এমন অভিযোগের সমর্থনে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
৪. RSS–BJP রাজনৈতিক মতাদর্শ ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ব্যবহারের ইস্যু
এই অংশে একাডেমিক ভাষায় ব্যাখ্যা:
- RSS ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি সাংস্কৃতিক–রাজনৈতিক সংগঠন, যাদের রাজনৈতিক শাখা BJP।
- অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে—
RSS–এর সংগঠন কাঠামো ইউরোপীয় ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনগুলোর সাথে কিছু মিল রাখে—বিশেষ করে সংস্কৃতির আধিপত্য, জাতীয়তাবাদ, কেন্দ্রীভূত নেতৃত্ব, এবং ভিন্নমত দমন।
✔️ Re-link:
“Populism & Hindu Nationalism – LSE Paper”
এই প্রেক্ষাপটে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ—
ED, CBI, Income Tax, NIA এর মতো সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
৫. সমালোচকদের ভাষায় মোদির রাজনৈতিক শৈলী
নিচে আমি তোমার মূল বক্তব্যকে আইনি নিরাপদ ভাষায় গবেষণামূলকভাবে সাজালাম:
সমালোচকদের মতে মোদি সরকারের শাসনশৈলীতে দেখা যায়—
- অতিরিক্ত রাষ্ট্রমহিমান্বয়ন
- প্রবল জাতীয়তাবাদ
- সাংস্কৃতিক আধিপত্য
- রাজনৈতিক বিরোধীকে রাষ্ট্রশত্রু হিসেবে উপস্থাপন
- সমালোচনাকে দেশবিরোধিতা হিসেবে চিহ্নিত করা
- সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ
- শক্তিশালী কেন্দ্রীয় প্রশাসন
এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে রাজনৈতিক বিজ্ঞানীরা “competitive authoritarianism”, “electoral autocracy” বা “strongman politics” বলে উল্লেখ করেন।
Re-link:
V-Dem Institute Research Report: https://www.v-dem.net
৬. তাহলে প্রশ্নের উত্তর কী? — নিরপেক্ষ উপসংহার
✔️ কি মোদি সরকার ED–কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে?
তথ্য অনুযায়ী—
- বিরোধীদের বিরুদ্ধে ED মামলার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেশি
- বেশিরভাগ তদন্ত নির্বাচনের আগে বা সরকার পতনের সময় শুরু
- আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে
- সুপ্রিম কোর্টও “অবৈধ গ্রেপ্তার” নিয়ে সতর্ক করেছে
অতএব—
ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বড় অংশের মতে ED–কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে—এ অভিযোগের শক্ত প্রমাণ রয়েছে।
এটি ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিরোধী দল, সংবাদমাধ্যম ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর কার্যকলাপ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদি সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ED-কে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
১. ইডি (ED) কী এবং এর মূল দায়িত্ব কী? (Crucial Information)
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হলো ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা একটি বিশেষ আর্থিক তদন্ত সংস্থা। এর প্রধান দায়িত্ব হলো দুটি গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রয়োগ করা:
- PMLA (Prevention of Money Laundering Act, 2002): অর্থ পাচার (Money Laundering) সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা।
- FEMA (Foreign Exchange Management Act, 1999): বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন বা অনিয়মের তদন্ত করা।
ইডি-এর ক্ষমতা অন্যান্য তদন্ত সংস্থার (যেমন সিবিআই) চেয়ে ভিন্ন, কারণ PMLA-এর অধীনে ইডি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এবং তার সম্পদ সরাসরি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
২. বিতর্কের মূল কারণ: বিরোধী দলের অভিযোগ
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ED-এর মামলার সংখ্যা এবং কার্যক্রমের পরিধি নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে।
- মামলার কেন্দ্রবিন্দু: বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে ED-এর কার্যকলাপকে বিরোধীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে আখ্যায়িত করেছে। তাদের দাবি, যেসব নেতা সরকারের সমালোচনা করছেন, তাঁদের কণ্ঠরোধ করার জন্যই এসব মামলা দেওয়া হচ্ছে।
- কম সাজাপ্রাপ্তির হার: বিরোধীদের প্রধান যুক্তিগুলোর মধ্যে একটি হলো: ED বিপুল সংখ্যক মামলা দায়ের করলেও, PMLA-এর অধীনে সাজাপ্রাপ্তির হার তুলনামূলকভাবে খুবই কম। তারা দাবি করেন, এর থেকে প্রমাণিত হয় যে মামলাগুলোর উদ্দেশ্য আইনি সুবিচার প্রতিষ্ঠা নয়, বরং রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা।
- মামলা ও নির্বাচনী সম্পর্ক: অনেক সমালোচক অভিযোগ করেন যে, গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে বা রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের সময় ED-এর কার্যকলাপ বেড়ে যায়।
৩. সরকারের অবস্থান ও পাল্টা যুক্তি
সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের যুক্তি নিম্নরূপ:
- দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই: সরকারের দাবি, ED তার দায়িত্ব পালন করছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করছে। তারা যুক্তি দেন যে, ED-এর তৎপরতা বৃদ্ধি প্রমাণ করে সরকার অর্থনৈতিক অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে।
- আইনের শাসন: সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে, ED একটি স্বাধীন সংস্থা এবং এর কার্যক্রম আইনের দ্বারা পরিচালিত হয়। কেউ দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে যে দলেরই হোক না কেন।
- স্বচ্ছতা: সরকারের মতে, আগে দুর্নীতি দমন দুর্বল ছিল। বর্তমান সরকার ED-কে শক্তিশালী করে আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা দেশের স্বচ্ছতা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য (Relink to Stability)।
উপসংহার
ইডি-এর কার্যক্রমকে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে দাবি করলেও, বিরোধী দলগুলো এটিকে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার হাতিয়ার হিসেবে দেখছে। এই সংস্থাটি বর্তমানে ভারতের রাজনীতিতে একটি গভীর মেরুকরণ এবং বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদক:বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ প্রতিদিন
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার করুন
প্রতিবেদক: বিডিএস বুলবুল আহমেদ
সরকার এবং শাসন—এই দুটি শব্দ প্রায়শই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। সরকার হলো সেই মূর্ত প্রতিষ্ঠান যা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়, আর শাসন হলো সেই বিমূর্ত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালন করা হয়। এই পার্থক্যটি আধুনিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সুশাসন (Good Governance) প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. সরকার ও শাসনের সংজ্ঞা ও প্রকৃতি (Crucial Information)
| ধারণা | সংজ্ঞা ও প্রকৃতি |
| সরকার (Government) | সংস্থা বা কাঠামো: সরকার হলো একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থা (Institution), যার নির্দিষ্ট প্রধান, কর্মীবাহিনী, দপ্তর ও মেয়াদের সীমা রয়েছে। এটি ক্ষমতার ধারক। |
| শাসন (Governance) | প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি: শাসন হলো সেই প্রক্রিয়া বা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে সরকারের নীতি, আইন এবং সিদ্ধান্তগুলো সমাজে বাস্তবায়িত হয়। এটি ক্ষমতার প্রয়োগ পদ্ধতি। |
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: সরকার একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির হাতে থাকতে পারে (যেমন সংসদীয় সরকার), কিন্তু শাসন প্রক্রিয়াটি দেশের সকল অংশীজন (Stakeholders)—বেসরকারি সংস্থা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ—সহ সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণকে বোঝায়।
২. 🔗 রি লিংক: পারস্পরিক সম্পর্ক ও ধারাবাহিকতা
সরকার ও শাসন একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তাদের সম্পর্ককে নিম্নোক্তভাবে ব্যাখ্যা করা যায়:
- সরকার হলো যন্ত্র (Instrument): সরকার হলো সেই যন্ত্র, যা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- শাসন হলো ফল (Outcome): শাসন হলো সেই যন্ত্র ব্যবহারের পদ্ধতি ও ফলাফল। একটি সরকার পাঁচ বছর পর পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু শাসন প্রক্রিয়া (যেমন বিচার বিভাগ, প্রশাসন) তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
🔗 Relink: জবাবদিহিতার ভিত্তি: শাসন প্রক্রিয়াটি সরকারের চেয়েও ব্যাপক এবং এর পরিধি বেশি। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের সফলতা মাপা হয় তার সুশাসন (Good Governance) প্রতিষ্ঠার দক্ষতার ওপর, যা জবাবদিহিতা (Accountability) ও স্বচ্ছতা (Transparency) ছাড়া সম্ভব নয়।
৩. সুশাসন: শাসনের আধুনিক অপরিহার্য শর্ত
১৯৯০-এর দশক থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক, শাসনের গুণগত মান অর্থাৎ সুশাসনকে উন্নয়নের প্রধান শর্ত হিসেবে তুলে ধরেছে। এটি কেবল সরকারের প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি আদর্শিক মানদণ্ড।
| সুশাসনের মূল উপাদান (Crucial Information) | তাৎপর্য |
| স্বচ্ছতা (Transparency) | সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকা। |
| জবাবদিহিতা (Accountability) | সরকার ও প্রশাসনের প্রতিটি স্তরের জবাবদিহি নিশ্চিত করা। |
| আইনের শাসন (Rule of Law) | জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করা। |
| অংশগ্রহণ (Participation) | সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের ও অংশীজনদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। |
উপসংহার
সরকার (সংস্থা) নীতি তৈরি করে, আর শাসন (প্রক্রিয়া) সেই নীতিগুলোকে সমাজের গভীরে বাস্তবায়ন করে। একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র গঠনের জন্য ভালো সরকার থাকা যথেষ্ট নয়, বরং ভালো শাসন প্রক্রিয়া (সুশাসন) থাকা অপরিহার্য।
সূত্র
১. রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও জন-প্রশাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ।
২. বিশ্বব্যাংক (World Bank) কর্তৃক প্রকাশিত ‘Governance and Development’ বিষয়ক প্রতিবেদন।
৩. রাজনৈতিক তত্ত্ব ও সাংবিধানিক আইন সংক্রান্ত গ্রন্থাবলী।
৪. সুশাসন (Good Governance) সম্পর্কিত জাতিসংঘের (UN) নীতিমালা।
প্রতিবেদক:বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ প্রতিদিন
বিষয়ঃ
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার করুন
প্রতিবেদক: বিডিএস বুলবুল আহমেদ
বাংলাদেশের সংবিধান কেবল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন নয়; এটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর এটি গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর করা হয়। এই সংবিধানে মোট ১১টি ভাগ, ১৫৩টি ধারা (Articles) এবং ৭টি তফসিল রয়েছে।
১. সংবিধান প্রণয়ন ও ঐতিহাসিক সংযোগ (Crucial Information & Relink)
সংবিধানের উৎপত্তি ও এর প্রথম প্রণেতারা হলেন এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
- প্রণয়ন কমিটি: বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যার প্রধান ছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন।
- হস্তলিখিত অনুলিপি: সংবিধানের দুটি হাতে লেখা অনুলিপি রয়েছে—একটি বাংলা ও অন্যটি ইংরেজি। এর মূল কাঠামোটি তৈরি হয়েছিল ৯ মাসেরও কম সময়ে, যা সদ্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের জন্য এক বিশাল অর্জন।
- 🔗 Relink: মূলনীতি পুনরুদ্ধার: সংবিধানের মূল চার নীতি (জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা) বিভিন্ন সময়ে সামরিক ফরমান দ্বারা পরিবর্তিত হলেও, পঞ্চদশ সংশোধনী (২০১১)-এর মাধ্যমে সেগুলোকে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়, যা প্রমাণ করে সংবিধানের মূল আদর্শই রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তি।
২. সংবিধানের ১১টি ভাগের সারসংক্ষেপ ও গুরুত্বপূর্ণ ধারা
সংবিধানের এই ভাগগুলো রাষ্ট্রের জন্ম থেকে শুরু করে এর শাসন ও জনগণের অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে:
| সাংবিধানিক ভাগ | ধারা সংখ্যা | বিষয়বস্তুর মূল কথা (Crucial Information) |
| প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র | ধারা ১ – ৭ক | ধারা ৭ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং সংবিধানই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। |
| দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি | ধারা ৮ – ২৫ | রাষ্ট্রের ৪টি মূলনীতি (জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা)। ধারা ৮ এগুলি অনুসরণ করতে সরকারকে বাধ্য করে (আদালতে বলবৎযোগ্য নয়)। |
| তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার | ধারা ২৬ – ৪৭ক | ধারা ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা) ও ধারা ৩২ (জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার) সহ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য। |
| চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ | ধারা ৪৮ – ৬৪ | রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ক্ষমতা। নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ওপর ন্যস্ত। |
| পঞ্চম ভাগ: আইন প্রণয়ন বিভাগ | ধারা ৬৫ – ৯৩ | জাতীয় সংসদ ও আইন প্রণয়নের পদ্ধতি। ধারা ৭০ দ্বারা ফ্লোর ক্রসিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। |
| ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ | ধারা ৯৪ – ১১৭ | সুপ্রিম কোর্ট (আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ) এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। |
| সপ্তম ভাগ: নির্বাচন | ধারা ১১৮ – ১২৬ | নির্বাচন কমিশন (EC) গঠন ও এর কার্যকারিতা—যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান নিয়ামক। |
| অষ্টম ভাগ: মহাহিসাব নিরীক্ষক | ধারা ১২৭ – ১৩২ | CAG এর মাধ্যমে সরকারি অর্থের সুষ্ঠু নিরীক্ষা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়। |
| নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ | ধারা ১৩৩ – ১৪১ | সরকারি চাকরি ও PSC এর মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিবিধান। |
| দশম ভাগ: সংবিধান সংশোধন | ধারা ১৪২ | সংসদের মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সংশোধন প্রক্রিয়া, যা সংবিধানকে স্থিতিশীলতা দেয়। |
| একাদশ ভাগ: বিবিধ | ধারা ১৪৩ – ১৫৩ | শপথ, চুক্তি, তফসিল ও সংবিধানের ব্যাখ্যার চূড়ান্ত বিধান। |
৩. তফসিল: ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল (Crucial Information)
সংবিধানে ৭টি তফসিল যুক্ত করা হয়েছে, যা আইনি বিধানের পাশাপাশি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে কাজ করে।
- পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল: এই তিনটি তফসিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মূল টেক্সট সরাসরি যুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলোকে সংবিধানের অংশ করে স্থায়ী আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।
🔗 Relink: সংবিধানের স্থায়িত্ব: সংবিধানে স্বাধীনতার ঘোষণা ও মূল নীতিগুলো যুক্ত করার অর্থ হলো, ভবিষ্যতে কোনো সরকার চাইলেও সহজে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মৌলিক আদর্শগুলোকে পরিবর্তন করতে পারবে না। এটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আদর্শিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় একটি শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করে।
সূত্র
১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (ধারা ১ থেকে ১৫৩, সর্বশেষ সংশোধনীসহ)।
২. সংবিধান প্রণয়ন কমিটি (১৯৭২) এবং ড. কামাল হোসেন-এর সাংবিধানিক আইন বিষয়ক রচনা।
৩. সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী (২০১১) ও সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের বিশ্লেষণ।
প্রতিবেদক:বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ প্রতিদিন



