টেক

কম্পিউটার কী?
কম্পিউটার

নিউজ ডেস্ক

November 17, 2025

শেয়ার করুন

কম্পিউটার হল একটি যন্ত্র যা মানুষের কাজকে সহজ ও দ্রুত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন ধরণের গণনা, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, স্টোরেজ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম। বর্তমান সময়ে কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার প্রয়োজনীয়।

কম্পিউটারের ইতিহাস:

কম্পিউটারের ইতিহাস খুবই আকর্ষণীয় এবং বিস্ময়কর। কম্পিউটারের জনক হিসেবে চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) কে পরিচিত করা হয়, যিনি ১৮৩৭ সালে অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে একটি ধারণা তৈরি করেছিলেন, যা আজকের কম্পিউটারের একটি প্রাথমিক রূপ ছিল। তবে, আধুনিক কম্পিউটারের ভিত্তি স্থাপিত হয় আলান টুরিংজন ভন ন্যুম্যান এর কাজের মাধ্যমে।

কম্পিউটার এবং এর ভূমিকা:

কম্পিউটার গত শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাপক উন্নতি লাভ করেছে এবং আজকের দিনে এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রযুক্তি। এর প্রভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রগুলোতে এক বড় পরিবর্তন এসেছে।

অর্থনীতি: আধুনিক অর্থনীতিতে কম্পিউটারের ভূমিকা অপরিসীম। ব্যবসা, ব্যাংকিং, শেয়ার বাজার এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

চিকিৎসা: কম্পিউটারের মাধ্যমে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা, এবং রোগীর ডেটা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্রপাতি যেমন MRI, CT স্ক্যানিং, ইত্যাদি কম্পিউটারের সাহায্যে পরিচালিত হয়।

শিক্ষা: অনলাইন শিক্ষা, ডিজিটাল কন্টেন্ট, এবং শিক্ষা সম্পর্কিত অন্যান্য কার্যক্রম কম্পিউটার দ্বারা সহজ হয়েছে। কম্পিউটার আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অঙ্গ হয়ে উঠেছে, যা দূরশিক্ষণ, পরীক্ষা এবং গবেষণার জন্য ব্যবহার হয়।

কৃষি: কৃষিতে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। অ্যাগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফসলের পূর্বাভাস কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়।

অফিস ও প্রশাসন: কম্পিউটার সফটওয়্যার যেমন MS Office এর মাধ্যমে অফিসের কাজকে সহজ করা হয়েছে। তথ্য সংরক্ষণ, রিপোর্ট তৈরি, এবং অনলাইন যোগাযোগ আজকে কার্যকর হয়েছে।

কম্পিউটারের গুরুত্ব:

বর্তমানে কম্পিউটার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি মানব জীবনকে আরও দ্রুত এবং কার্যকর করেছে। বিশেষ করে ডিজিটাল যুগে আমাদের কাজের গতি, যোগাযোগের মাধ্যম, এবং তথ্য প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত হয়েছে। আমরা একে “আধুনিক যুগের আশীর্বাদ” হিসেবে বিবেচনা করি, কারণ এর মাধ্যমে আমরা সৃষ্টিশীলতার নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।

কম্পিউটার প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ:

কম্পিউটারের ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল হতে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), মেশিন লার্নিং, এবং বিগ ডেটা প্রযুক্তি কম্পিউটারকে আরও শক্তিশালী এবং স্মার্ট করবে। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার আরও মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যুক্ত হবে এবং আরও অনেক কাজ মানুষের জন্য সহজ করবে।

কম্পিউটারের ব্যবহার করার উপায়:

কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য কিছু সাধারণ প্রয়োজনীয়তা হলো:

  1. হাই স্পিড ইন্টারনেট – দ্রুত কাজ করতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ শক্তিশালী হতে হবে।
  2. সঠিক সফটওয়্যার – কাজের ধরন অনুযায়ী সফটওয়্যার নির্বাচন করতে হবে।
  3. বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস – সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা উচিত।

সংক্ষেপে:

কম্পিউটার প্রযুক্তি আজকের যুগে একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞান, ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা, এবং সামাজিক যোগাযোগ সহ সমস্ত ক্ষেত্রেই এর অপরিসীম অবদান রয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ব আরও সংযুক্ত এবং আধুনিক হচ্ছে।

সূত্র:

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

বিশ্বে প্রথম মোবাইল ফোন

নিউজ ডেস্ক

November 17, 2025

শেয়ার করুন

মোবাইল ফোনের প্রথম উদ্ভাবন: ১৯৭৩ সালের বিপ্লব

মোবাইল ফোন, যা এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তার ইতিহাস শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। পৃথিবীর প্রথম মোবাইল ফোনটি মোটোরোলা কোম্পানির তৈরি ছিল এবং এর নাম ছিল Motorola DynaTAC 8000X। এটি ছিল একটি বিপ্লবী প্রযুক্তি, যা ফোন যোগাযোগের পদ্ধতিকে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করে দেয়।

প্রথম মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য:

  • ওজন: প্রায় ১.১ কেজি
    • প্রথম মোবাইল ফোনটি ছিল অত্যন্ত ভারী, যেটি হাতে ধরে রাখা ছিল বেশ কষ্টকর। এখনকার স্মার্টফোনের তুলনায় এটি ছিল অনেক বেশি ভারী।
  • ব্যাটারি:
    • ব্যাটারিটি দেখতে ছিল ইটের মতো, এবং এটি ১০ ঘণ্টা ধরে চার্জ হতে পারতো, অথচ ফুল চার্জ হয়ে গেলে ৩০ মিনিট ব্যবহার করা যেতো।
    • এই ব্যাটারি প্রযুক্তি ছিল অনেক পিছিয়ে, কারণ আজকের দিনে মোবাইল ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়।
  • কলিং সুবিধা:
    • এই মোবাইল ফোনটি শুধু কল করতে সক্ষম ছিল, আর তাও ৩০ মিনিটের জন্য। তখনকার ফোনগুলো ছিল শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত, অথচ আজকের ফোনগুলো অনেক বেশি ফিচার সমৃদ্ধ।

মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক:

মার্টিন কুপার, মোটোরোলা কোম্পানির গবেষণা ও উন্নয়ন প্রধান, প্রথম মোবাইল ফোনে কল করার ইতিহাস সৃষ্টি করেন ১৯৭৩ সালে। তিনি মোটোরোলা DynaTAC 8000X এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একজনকে মোবাইল ফোনে কল করেন, যা ছিল সেই সময়ের জন্য একটি বৈপ্লবিক ঘটনা। এই ফোনটি সেসময়ে ব্যবসায়িক এবং উচ্চমানের মানুষের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ছিল।

মোবাইল ফোনের প্রথম সংস্করণ ও এর ব্যবহার:

  • সামাজিক প্রভাব:
    প্রথম মোবাইল ফোনটি শুধুমাত্র ব্যবসায়ী এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের জন্য ছিল। এটি এমন একটি প্রযুক্তি ছিল যা শুধু ফোন কলের জন্য ব্যবহৃত হত। তখনকার সময়ে, একে নিয়ে বিশেষ তেমন কোনো কৌতূহল ছিল না, কারণ এটি ছিল শুধুমাত্র এক ধরণের বিলাসিতা।
  • ব্যবহার:
    এক্ষেত্রে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা যেমন টেক্সট করতে পারি, ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারি, ভিডিও কলিং করতে পারি, সেসময় এসব কিছুই সম্ভব ছিল না। তবে, এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, যা ভবিষ্যতের মোবাইল ফোনের নির্মাণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।

মোবাইল ফোনের পরবর্তী উন্নতি:

১৯৭৩ সালের এই মোটোরোলা DynaTAC 8000X আবিষ্কারের পর থেকে মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি দ্রুত উন্নতি করতে থাকে। পরবর্তীতে সেলুলার নেটওয়ার্কের উন্নতি, ডিজিটাল সিস্টেমের আগমন, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ এবং স্মার্টফোনের উদ্ভাবন এসব কিছু মোবাইল ফোনের কার্যকারিতা এবং প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করেছে।

আজকের স্মার্টফোনগুলি আগের সেই মোবাইল ফোনের থেকে অনেক বেশি লাইটওয়েট, কমপ্যাক্ট, ফাস্ট এবং ফিচার-সমৃদ্ধ। বর্তমানে আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেবল কলিং নয়, বরং ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ফটোগ্রাফি, গেমিং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মতো নানা সুবিধা উপভোগ করি।

বিশ্বের মোবাইল ফোন প্রযুক্তির অগ্রগতি:

বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি, যা ১৯৭৩ সালে ১.১ কেজি ওজনসহ মোবাইল ফোন ছিল, সেই প্রথম পদক্ষেপের পর মোবাইল ফোনের উত্থান রীতিমতো একটি প্রযুক্তিগত বিপ্লব হিসেবে পরিণত হয়েছে। ১৯৮০ সালের দিকে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সাধারণ মানুষদের কাছে সহজলভ্য হতে শুরু করে এবং তা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে ওঠে।

আজকের দিনে, অ্যাপল, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, শাওমি এর মতো বড় মোবাইল ফোন নির্মাতারা স্মার্টফোনের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে এবং তারা আরও শক্তিশালী ও উন্নত প্রযুক্তির ফোন তৈরি করছে, যা আরও বেশি দক্ষ, ফাস্ট এবং শক্তিশালী।

উপসংহার:

মোবাইল ফোনের ইতিহাস একটি দীর্ঘ পথচলা। ১৯৭৩ সালে মোটোরোলা DynaTAC 8000X দিয়ে শুরু হওয়া এই যাত্রা আজ স্মার্টফোনের যুগে পরিণত হয়েছে। প্রথম মোবাইল ফোনটি শুধুমাত্র কলিং সুবিধা প্রদান করলেও, আজকের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট, ভিডিও কলিং, গেমিং, ফটোগ্রাফি, সোশ্যাল মিডিয়া সহ অনেক সুবিধা পেয়ে থাকি। এই অগ্রগতি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং বিজ্ঞানী, গবেষক এবং নির্মাতাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ।

সূত্র:

  1. Motorola DynaTAC 8000X History
  2. History of Mobile Phones – BBC
  3. The History of Mobile Phones – Wired

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

জীবনে কোনটা বেশি প্রয়োজন

নিউজ ডেস্ক

November 17, 2025

শেয়ার করুন

আজকাল মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় না, বরং এটি একটি শক্তিশালী আয়ের মাধ্যমেও পরিণত হয়েছে। একসময় শুধুমাত্র কম্পিউটারের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব ছিল, তবে এখন মোবাইল ফোন দিয়েও আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন। আজ আমরা আলোচনা করবো কীভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব এবং এর জন্য কোন কোন পদ্ধতি অনুসরণ করলে সহজে সফলতা পাওয়া যেতে পারে।

মোবাইল ফোন দিয়ে মাসে লাখ টাকা আয়ের ১০টি উপায়

  1. ফ্রিল্যান্সিং
    মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা এখন অনেক সহজ। fiverr, Upwork, এবং ফ্রিল্যান্সার এর মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেস মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। যদি আপনার কম্পিউটার না থাকে, আপনি মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে পারেন। ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে:
    • ধৈর্য্য ও স্কিল শিখুন।
    • ক্যানভা দিয়ে ডিজাইন করা শিখুন, গুগল ডক্স দিয়ে কনটেন্ট লেখা শিখুন, এবং ক্যাপকাট দিয়ে ভিডিও এডিট করা শিখুন।
    • কাজের মান বাড়ালে ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত হলে বেশি ক্লায়েন্ট পাবেন।
  2. কন্টেন্ট লিখে ইনকাম করা
    মোবাইল ফোন দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং খুব সহজ এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি। ফাইবার, অ্যাপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার এর মতো প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট লিখে আপনি সহজেই আয়ের সুযোগ পেতে পারেন। ব্লগ পোস্ট, ওয়েবসাইটের আর্টিকেল, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ইত্যাদি মোবাইল দিয়েই লিখে জমা দেওয়া যায়। কন্টেন্ট রাইটিংয়ের জন্য:
    • গুগল ডক্স, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, বা নোটপ্যাড ব্যবহার করুন।
    • প্রাথমিকভাবে ছোট প্রজেক্ট নিন, তারপর অভিজ্ঞতা বাড়ানোর সঙ্গে বড় প্রজেক্ট নিতে শুরু করুন।
    • ব্লগিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে আয় করতে পারেন।
  3. ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে ইনকাম করা
    মোবাইল ফোন দিয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরী এবং আপলোড করা সম্ভব। ভিডিও তৈরি করে, তারপরে ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপন বা স্পনসর্ড কনটেন্টের মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে। আপনি মোবাইল ফোন দিয়েই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা (এডিটিং), এবং আপলোড করতে পারেন। উপায়:
    • টিকটক বা ইনস্টাগ্রাম এর মতো প্ল্যাটফর্মেও ভিডিও আপলোড করতে পারেন, যেখানে আপনি বিজ্ঞাপন এবং স্পনসর্ড কনটেন্ট থেকে আয় করতে পারবেন।
  4. অনলাইন টিউশনি
    মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইন টিউশন ক্লাস নিতে এবং পড়াতে পারেন। আপনি যদি কোনো বিষয় বিশেষজ্ঞ হন, তবে Zoom বা Google Meet এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শেখাতে পারেন। পদ্ধতি:
    • মুলত গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান, হিসাব বা অন্যান্য পাঠ্যক্রম বিষয়ক টিউশনি দিয়ে আয় করা যায়।
    • এটি আপনাকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করবে।
  5. ডেলিভারি সার্ভিস
    অফলাইন ডেলিভারি সার্ভিসের মতোই মোবাইল ফোন দিয়েও অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিস চালানো যায়। Foodpanda, Uber Eats, Pathao ইত্যাদিতে কাজ করে মোবাইল দিয়ে আয় করা সম্ভব।
    • ডেলিভারি অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি ডেলিভারি সার্ভিস দিতে পারেন এবং আয়ের সুযোগ পেতে পারেন।
  6. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
    মোবাইল ফোন দিয়েও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। আপনি যদি কোনো পণ্যের প্রচারণা করেন এবং তার মাধ্যমে বিক্রি হয়, তবে কমিশন পাবেন। আপনি Amazon, Clickbank, Commission Junction এর মতো প্ল্যাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে পারেন।
  7. ফটোগ্রাফি বা ভিডিও বিক্রি
    মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি ফটোগ্রাফি বা ভিডিও তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। Shutterstock, Adobe Stock, এবং iStock এ ছবি বা ভিডিও আপলোড করে তা বিক্রি করা যায়। পদ্ধতি:
    • ছবি বা ভিডিও নিয়ে কাজ শুরু করুন এবং তা ভালো মানের হতে হবে।
    • এরপর সেগুলো স্টক ফটো সাইটে আপলোড করুন এবং প্রতি বিক্রিতে আয় করুন।
  8. ডাটা এন্ট্রি কাজ
    অনলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে আপনি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে পারেন। Fiverr, Upwork ইত্যাদি সাইটে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে আপনি ভালো আয় করতে পারেন।
  9. অ্যাপ রিসেলিং
    অনেক মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যা রিসেল করা যায়। Android বা iOS এর অ্যাপ রিসেল করে আয় করা সম্ভব। এটি নতুনদের জন্য একটি ভালো পন্থা হতে পারে।
  10. ই-কমার্স ব্যবসা
    ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রাম, বা Shopify এর মাধ্যমে অনলাইন শপ চালিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
  • পণ্য কিনে বা তৈরি করে আপনার মোবাইল ফোন থেকেই অনলাইনে বিক্রি শুরু করুন।

মোবাইল ফোন দিয়ে আয় করার উপকারী প্ল্যাটফর্ম ও টুলস:

  • Canva – ডিজাইন তৈরি করতে
  • Google Docs – কন্টেন্ট লেখার জন্য
  • Fiverr, Upwork – ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য
  • TikTok, YouTube – ভিডিও কনটেন্ট তৈরির জন্য
  • Shopify – ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা

উপসংহার:

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে লাখ টাকা আয়ের উপায় অনেক সহজ। নিয়মিত পরিশ্রম, দক্ষতা এবং ধৈর্য থাকলে আপনি সহজেই মোবাইল দিয়ে অনলাইন আয়ে সফল হতে পারেন। উপরের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলে আপনার জন্যও মাসে লাখ টাকা ইনকাম সম্ভব।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

ফেস আনলক

নিউজ ডেস্ক

November 16, 2025

শেয়ার করুন

কখনো ভেবে দেখেছেন কীভাবে আপনার ফোন এক নিমেষে আপনার মুখ চিনে ফেলে এবং দ্রুত আনলক হয়ে যায়? এটা কোনো জাদু নয়, এর পেছনে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি! ফেস আনলক টেকনোলজি মূলত মুখের বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার জন্য বিভিন্ন সেন্সর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে, যা প্রতিদিনের নিরাপত্তা প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী।

ফেস আনলক প্রযুক্তি প্রধানত দুটি ধরনের হয়ে থাকে:

১. সাধারণ 2D ফেস আনলক (Standard 2D Face Unlock)

বেশিরভাগ স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এটি শুধুমাত্র সেলফি ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার মুখের একটি 2D ছবি তৈরি করে এবং সেই ছবি সার্ভ করে ফোনটি আনলক করতে।

কীভাবে কাজ করে:

  • ফোনের ক্যামেরা আপনার মুখের ছবি নেয়।
  • এরপর ফোনটি আপনার মুখের ছবিটি সেভ করে রাখে এবং আপনি যখন আনলক করতে যান, তখন লাইভ ছবি এবং সেভ করা ছবির সাথে তুলনা করে।

সমস্যা:

  • এটি যথেষ্ট নিরাপদ নয়। একটি ভালো মানের ছবি বা ভিডিও দিয়েও এটি সহজেই খোলা যেতে পারে।
  • আসল মুখের পরিবর্তে ছবি বা ভিডিও দেখিয়ে ফোন আনলক করা সম্ভব, কারণ এটি শুধুমাত্র 2D ছবির সাথে মেলানো হয়।

২. অ্যাডভান্সড 3D ফেস আনলক (Face ID)

এটি অনেক বেশি উন্নত এবং নিরাপদ প্রযুক্তি। এই ধরনের ফেস আনলক সিস্টেম সাধারণত আরও উন্নত ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়, যেমন Apple এর Face ID এবং কিছু প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে (যেমন Huawei, OnePlus, Samsung)।

কীভাবে কাজ করে:

  • এখানে ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় না। এর পরিবর্তে বিশেষ সেন্সর (যেমন ডট প্রজেক্টর, ইনফ্রারেড ক্যামেরা) আপনার মুখের গভীরতা এবং গঠন চিহ্নিত করে।
  • সেন্সরগুলি আপনার মুখের উপর হাজার হাজার অদৃশ্য ইনফ্রারেড ডট ফেলিয়ে আপনার মুখের 3D ম্যাপ তৈরি করে।

প্রক্রিয়া:

  • ফোনের সেন্সরগুলো আপনার মুখের প্রতিটি অংশে ইন্ডিভিজুয়াল ডট প্রজেক্ট করে।
  • এই ডটগুলোর দূরত্ব মাপা হয় এবং এর মাধ্যমে একটি সঠিক 3D ম্যাপ তৈরি করা হয়, যা আপনার মুখের গঠন, গভীরতা, এবং মৌলিক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করে।

সুরক্ষা:

  • 3D ম্যাপটি খুবই সুনির্দিষ্ট, যা আপনার মুখের একদম সঠিক গঠন এবং গভীরতা রেকর্ড করে।
  • এটি এতই সুরক্ষিত যে ছবি বা মাস্ক দিয়ে এটি প্রতারণা করা প্রায় অসম্ভব।
  • Face ID প্রযুক্তি এমনভাবে ডিজাইন করা যে এটি ভুল বা অস্বাভাবিক কোনো ডাটা গ্রহণ করে না, এবং খুবই উচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

AI এবং মেশিন লার্নিং-এর শক্তি

ফেস আনলক সিস্টেমগুলো মেশিন লার্নিং (AI) ব্যবহার করে, যা সময়ের সাথে সাথে আপনার মুখের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য শিখে এবং পরিবর্তন অনুযায়ী নিজেকে আপডেট করে। এর মানে হলো:

  • আপনি যদি দাড়ি রাখেন, চশমা পরেন বা কিছু পরিবর্তন করেন, ফোনটি আপনাকে ঠিক চিনে নিতে সক্ষম হয়।
  • AI নিয়মিত আপনার মুখের পরিবর্তন শিখে নেয়, যেমন চেহারায় সামান্য পরিবর্তন (দাড়ি, চশমা, মেকআপ ইত্যাদি) বা পরিবেশের পরিবর্তন (অন্ধকার বা আলো)।

ফেস আনলক সিস্টেমটি শুধু একটি ছবি তুলেই মেলানোর কাজ নয়; এটি আসলে আপনার মুখের এক জটিল গাণিতিক বিশ্লেষণ করে এবং এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক 3D ম্যাপ তৈরি করে যা মোবাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। 🔒

ফেস আনলক-এর ভবিষ্যৎ

ফেস আনলক প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সাথে সাথে এটি আরও নিরাপদ এবং সুবিধাজনক হতে চলেছে। আগামীতে, এই প্রযুক্তি আরো উন্নত হবে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যেমন:

  • ইনবিল্ট সিকিউরিটি: ভবিষ্যতে ফেস আনলক আরও উন্নত সেন্সর ও সফটওয়্যার দ্বারা চালিত হবে, যা আরও নিরাপদ এবং দ্রুত হবে।
  • স্বাস্থ্য সুরক্ষা: কিছু ফোনে অদৃশ্য ফিচার অন্তর্ভুক্ত করা হবে যা আপনাকে রিয়েল-টাইমে স্বাস্থ্যের তথ্য (যেমন, চেহারার মাধ্যমে চাপ বা উদ্বেগ চিহ্নিত করা) দিবে।

প্রশ্ন: চোখ বন্ধ করে থাকলে কি ফেস আনলক কাজ করবে? আপনি একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন!

ফেস আনলক-এর এই প্রযুক্তি আপনার ফোনের নিরাপত্তাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, যা শুধু নিরাপত্তা নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সুবিধাজনক করে তুলছে।

প্রতিবেদক:  বিডিএস বুলবুল আহমেদ
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন: পালসবাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।

৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ